বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বৈশাখের শেষে আষাঢ়ে মেঘ! দুপুরে অন্ধকার নামল শহরে। তীব্র দাবদাহের পর স্বস্তির বৃষ্টি। সঙ্গে প্রাপ্তি শিলাবৃষ্টি। বৃহস্পতিবার সকালেই কলকাতা এবং শহরতলিতে ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস দেয় আলিপুর হাওয়া অফিস। ঘণ্টায় ৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বলেও পূর্বাভাস দেয়।
সেই মতো বেলা ১২ টা বাজতেই বদলাতে শুরু করে শহর এবং শহরতলির আবহাওয়া। আষাঢ়ের মেঘ একেবারে ঢেকে ফেলে। বজ্রবিদ্যুত সহ শুরু হয় ঝড়-বৃষ্টি (Heavy Rain) । এমনকি কলকাতার বেশ কয়েকটি জায়গায় শিলাবৃষ্টি শুরু হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। বৈশাখের শেষে কলকাতার মানুষের কাছে এটাই বড় প্রাপ্তি।
অন্যদিকে দুই ২৪ পরগণাতেও ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস (Heavy Rain) দেওয়া হয়েছে। জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। বলে রাখা প্রয়োজন, উত্তর-পূর্ব অসমের ওপরে একটি এবং বাংলাদেশের ওপরে আরেকটি ঘূর্ণাবর্ত অবস্থান করছে। একটি অক্ষরেথা উত্তর-পূর্ব রাজস্থান থেকে দক্ষিণ অসম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। আর সেই কারণেই এই পরিস্থিতি বলে আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রবল বৃষ্টির কারণে ইতিমধ্যে শহর এবং শহরতলির একাধিক রাস্তায় তীব্র যানজট তৈরি হয়েছে। বেশ কিছু জায়গায় জমে গিয়েছে জল। অন্যদিকে প্রবল বৃষ্টির কারনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টার উড়তে পারেনি। ফলে ভার্চুয়ালে সভায় বক্তব্য রাখবেন তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কমান্ড।
শুধু কলকাতা কিংবা শহরতলি নয়, দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায় ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস (Heavy Rain) দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে পূর্ব-পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বৃষ্টির সম্ভাবনবা তৈরি হয়েছে। এই তিন জেলায় ৫০ থেকে ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে। সঙ্গে প্রবল বজ্রপাতের আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সময় নিরাপদে থাকার কথা বলা হয়েছে।
অন্যদিকে আজ বৃহস্পতিবারই শুধু নয়, আগামীকাল শুক্রবারও ঝড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস (Heavy Rain) দেওয়া হয়েছে। আর সেই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ফলে বৃষ্টীর পরিমান কয়েকটি জেলায় বাড়তে পারে বলেও খবর। এদিন সকাল থেকে গুমোট গরম থাকলেও বৃষ্টিপাতের কারনে এক ধাক্কায় অনেকটাই কমেছে তাপমাত্রার পারদ। প্রায় ১৩ ডিগ্রি পারদ কমে গিয়েছে বলে আলিপুর হাওয়া অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে।