বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:রাজভবনে প্রবেশ করতে পারবেন না রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। নির্দেশিকা জারি করল রাজভবন। চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের অনুষ্ঠান বয়কট করেছে রাজ্যপাল। কলকাতা, ব্যারাকপুর এবং দার্জিলিং রাজভবনে প্রবেশ করতে পারবেন না।
কারণ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন তিনি তার প্রেক্ষিতেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।
রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন রাজভবনেরই এক মহিলাকর্মী। তার প্রেক্ষিতেই রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেছিলেন, নারীর অসম্মান-অপমান করছেন রাজ্যপাল। আর সেই রাজভবনেই রাত্রিবাস করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর এই মন্তব্যকে অসংসদীয় বলে মনে করছে রাজভবন। সেকারণে তাঁর রাজভবনে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
রাজ্যপাল চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের কোনও অনুষ্ঠানে যাবেন না বলেও নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এই ঘটনাকে সম্পূর্ণ পরিকল্পিত বলে অভিযোগ করেছেন। রাজ্যপাল নিজে এই অভিযোগ বানানো বলে দাবি করেছেন। যদিও রাজভবনের ওই মহিলা কর্মী হেয়ারস্ট্রিট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির মধ্যেই রাজভবনে পৌঁছেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামীকাল রাজ্যে তিনটি নির্বাচনী সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
রাজভবনের ওই মহিলাকর্মীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে এখনও কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে পারেনি পুলিশ। কারণ সাংবিধানিক আইন অনুযায়ী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি মামলা দায়ের করা যায় না। তবে মহিলা কর্মী রাজভবনের হোস্টেলে থাকতে চাননা বলে জানিয়েছেন। তারপরেই পুলিশ তাঁকে পুলিশের গেস্ট হাউসে নিয়ে গিয়েছে। সেখানে কড়া নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে রাখা হয়েছে রাজ্যপালকে।
এদিকে রাজভবনে পুলিশের প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। কারণ এই অভিযোগ নেওয়ায় পুলিশের তৎপরতার নেপথ্যে নিজের প্রধানকে খুশি করার পরিকল্পনা রয়েছে। পুলিশ যেহেতু রাজ্য সরকারের অধীনে সেকারণেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পুলিশ প্রশাসন নিয়ে একাধিক বার প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যপাল। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে খুশি করতে পুলিশ রাজভবনে অভিযান চালাতে পারে এই আশঙ্কা করেই আগে থেকে পদক্ষেপ করেছে রাজ্যপাল।