বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: “পদ নয় পথে আছি।” রাস্তায় নেমে এই বার্তা দিলেন কুণাল ঘোষ। তিনি দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ হারিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ‘তারকা প্রচারক’ হিসেবেও তাঁর নাম কাটা গিয়েছে। এতে বিন্দুমাত্র আফসোস নেই কুণালের।
তবে শেষপর্যন্ত নিজেকে সামলে রাখতে পারলেন না। রাস্তায় নামতেই তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা কুণাল ঘোষের নামে স্লোগান দিতে করেন। আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন তৃণমূল নেতা। চোখ দিয়ে অঝোরে জল পড়তে থাকে। একসময় রুমাল বার করে কান্না চাপার চেষ্টা করেন কুণাল ঘোষ।
তাপস রায়ের সঙ্গে এক মঞ্চে দেখা গিয়েছিল কুণাল ঘোষকে। তারপর দলের নেক নজরে পড়তে হয়েছে কুণালকে। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে তাঁকে কার্যত ঘাড়ধাক্কা দেওয়া হয়েছে। কুণাল ঘোষ তৃণমূল কংগ্রেসের দীর্ঘদিনের কর্মী। তিনি গতকাল সন্ধ্যাবেলা কলকাতা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন তিনি।
তিনি দলের অনুগত সৈনিক হিসেবেই থাকবেন। এই কথা জোর গলায় বলেছেন কুণাল ঘোষ। তবে নাম না করে কয়েক জন নেতৃত্বকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কলকাতার বাইরে তাঁকে যেতে দেখা যায়নি। দুপুরের পর জানা যায়, তারকা প্রচারকের তালিকা থেকেও তিনি বাদ পড়েছেন।
“ভালোই হল, রোদে ঘোরাঘুরি করতে হবে না। ঠিক এই কথাই কুণাল ঘোষ বলেন বিকেল বেলা। তারকা প্রচারক হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন। আর যারা রয়েছেন ওই তালিকায়, তারা কত জন শুভেন্দু অধিকারীকে সরাসরি আক্রমণ করেছেন? সেই প্রশ্ন তোলেন কুণাল ঘোষ।
দলের অনুগত সৈনিক হিসেবেই তিনি থেকে যাবেন। কোনও পদের দরকার নেই। এই কথা আরও একবার বললেন কুণাল ঘোষ। এরপর তিনি রাস্তায় নামেন। রাস্তায় তৃণমূল কংগ্রেসের ঝান্ডা নিয়ে বেশ কয়েকজন দলীয় কর্মী উপস্থিত ছিলেন। কুণাল ঘোষের পক্ষে তারা স্লোগান তোলেন।
সেই দেখে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন কুণাল ঘোষ। একসময় তিনি কেঁদে ফেলেন। এরপর কান্না আটকাতে রুমাল বার করে চোখ মোছেন। তবু চোখের জল আটকানো সম্ভব হয়নি। বলা ভালো, ঠিক ১৩ বছর আগে কুণাল ঘোষকে একইভাবে প্রকাশ্যে কাঁদতে দেখা গিয়েছিল। সারদা কাণ্ডে তারপর তিনি গ্রেফতার হন।
দীর্ঘ অতীত পেরিয়ে ফের কুণাল ঘোষ তৃণমূল কংগ্রেসের সামনে সারিতে। ১৩ বছর পর ফের তিনি প্রকাশ্যে কেঁদে ফেললেন।