বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মুখে ফের বালাকোট এয়ার স্ট্রাইকের (2019 Balakot Airstrike) প্রসঙ্গ! সফল এই অভিযান নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য ফাঁস করলেন।
প্রধানমন্ত্রীর দাবি, ২০১৯ সালে ভারত লুকিয়ে বালাকোটে হামলা চালায়নি। এয়ারস্ট্রাইকের পর সবার আগে পাকিস্তানের আধিকারিকদের ফোন করে এই তথ্য জানানো হয়।
কর্নাটকের বগোলকোটে নির্বাচনী প্রচারে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী (Pm Modi)। আর সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, পুলওয়ামা হামলার জবাব দিতে সীমান্ত পেরিয়ে বালাকোটে জঙ্গি ক্যাম্প স্ট্রাইক চালায় ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্স (Indian Air Force)। আর এই তথ্য সংবাদমাধ্যমকে দেওয়ার আগে পাকিস্তানের আধিকারিকদের ফোন করে স্ট্রাইকের বিষয়ে জানানোর কথা বলি। কিন্তু প্রথমে ওরা ফোন তোলেনি। এরপরেও সেনাবাহিনীকে অপেক্ষা করতে বলি।
সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই প্রসঙ্গে নরেন্দ্র মোদী আরও বলেন, পিছন থেকে হামলা চালাতে মোদী পছন্দ করে না। মুখোমুখি দাঁড়িয়ে লড়াই করি। এমনকি এই সমস্ত বিষয় লুকানোও পছন্দ করে না। আর তাই এই বিষয়ে পাকিস্তানের আধিকারিকদের জানানোর পরেই বিশ্বকে এয়ারস্ট্রাইকের জানানোর কথা বলি। দেশের নিরপরাধ মানুষকে হত্যার চেষ্টাকারীদের সতর্ক করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটাই নতুন ভারত। একেবারে ঘরে ঢুকে মেরে আসবে।
বলে রাখা প্রয়োজন, ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলার ঘটনা ঘটে। বাহিনীর উপর ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলায় ৪০ জনেরও বেশি সেনা জওয়ান শহিদ হন। ঘটনায় গোটা দেশ জেগে ওঠে। কড়া ভাষায় পাকিস্তানকে জবাব দেওয়ার দাবি ওঠে।
আর সেই দাবিকে মান্যতা দিয়েই বালাকোটে এয়ারস্ট্রাইক (2019 Balakot Airstrike) চালায় ইন্ডিয়ান এয়ার ফোর্স। ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের বালাকোটে থাকা একাধিক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। একাধিক জঙ্গির মৃত্যু হলেও তা প্রকাশ করেনি পাকিস্তান। এই ঘটনায় ভারত এবভং পাকিস্তানের মধ্যে সাময়িক সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি করে। যদিও ভারতের দিকে আঙুল তোলার সাহস দেখায়নি ইসলামাবাদ।
যদিও ভারতীয় বিমান বাহিনীর এই অভিযান নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। প্রমাণ সামনে আনার দাবি ওঠে। যার পালটা জবাব দেয় বিজেপিও। এমনকি নির্বাচনের মুখে এই বিষয়টিকে রীতিমত ইস্যুও করে মোদী সরকার। ২৪ এর লোকসভা নির্বাচনেও সেই বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের কথা স্মরণ করিয়েই ভোট প্রচারে নরেন্দ্র মোদী। যা নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে জোর বিতর্ক।