বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:পতঞ্জলির জিনিস ব্যবহার করার আগে সাবধান। একাধিক জিনিসের লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। তালিকায় রয়েছে ১৪টি সামগ্রি। পতঞ্জলির একাধিক সামগ্রির বিজ্ঞাপনে ক্রেতাদের সঙ্গে প্রতারণা করার অভিযোগ রয়েছে বাবা রামদেবের বিরুদ্ধে।
সুপ্রিম কোর্টে ভুল স্বীকার করে নিয়ে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছেন রামদেব। কিন্তু তাতেও রেহাই মেলেনি রামদেবের আয়ুর্বেদিক সামগ্রি প্রস্তুতকারী সংস্থা পতঞ্জলির একাধিক সামগ্রির বিজ্ঞাপনে ক্রেতাদের ভুল তথ্য দেওয়া হচ্ছে এই অভিযোগে মামলা চলছে সুপ্রিম কোর্টে।
যোগগুরু রামদেবের সংস্থা পতঞ্জলি। একাধিক আয়ুর্বেদিক সামগ্রি এখানে প্রস্তুত করা হয়। এমনকী ঘি, টুথ পেস্ট , সাবান থেকে শুরু রকে একাধিক আয়ুর্বেদিক ওষুধও তৈরি করে বাবা রামদেবের এই সংস্থা। সাধারণ মানুষের মধ্যে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিল পতঞ্জলির একাদিক প্রোডাক্ট। কিন্তু গত কয়েকমাস ধরে এই পতঞ্জলির সামগ্রি নিয়ে একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছিল।
উত্তরাখণ্ড সরকার সোমবার থেকেই পতঞ্জলির ১৪টি প্রোডাক্টের লাইসেন্স বাতিল করেছে। সেই তালিকায় রয়েছে,
স্বসারি গোল্ড, স্বসারি ভাটি, ব্রোনচম, স্বসারি প্রবাহি, স্বসারি অভেলা, মুক্তভাটি অক্সট্রা পাওয়ার, লিপিডম, বিপি গ্রিফট, মধুঘৃত, আইগৃট গোল্ড, পতঞ্জলি দৃষ্টি আইড্রপ। এই সামগ্রিগুলির উৎপাদন অবিলম্বে বন্ধ করে সেগুলির লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে হরিদ্বারের জেলা আয়ুর্বেদিক এবং ইউনানি অফিসার হরিদ্বারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এই অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। বাবা রামদেব, আচার্য বালকৃষ্ণ, দিব্য ফার্মেসি এবং পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছিল মামলা। সুপ্রিম কোর্টে ক্ষমাও চেয়ে নিয়েছিলেন। তার পরেই আদালত ক্রেতাদের ভুল প্রতারণার অভিযোগে রামদেবকে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে বলে সতর্ক করেছিলেন।