বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:দ্বিতীয় দফা নির্বাচনের পরেই দিল্লিতে বড় ধাক্কা খেল কংগ্রেস। পদত্যাগ করেছেন, দিল্লি কংগ্রেসের সভাপতি অরবিন্দর সিং লাভলি। এই নেতার পদত্যাগের পরে বিজেপি কংগ্রেস ও আপকে নিশানা করেছে।
সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর সঙ্গে কথা বলার সময় বিজেপি নেতা শেহজাদ পুনাওয়ালা বলেছেন, কংগ্রেসের কোনও মিশন বা ভিশন নেই। এই দল শুধুই বিভ্রান্তি ও দ্বন্দ্বে ডুবে রয়েছে। তিনি বলেছেন, দিল্লি কংগ্রেস এমন লোকেদের টিকিট দিয়েছে, যাঁদের সঙ্গে দিল্লির কোনও সম্পর্ক নেই। এর বিরুদ্ধে দিল্লির কংগ্রেস কর্মীরা পথে নেমে বিক্ষোভ করছেন।
দিল্লি কংগ্রেস সভাপতি অরবিন্দর সিং লাভলি কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খারড়গেকে চিঠি দিয়ে পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন। সেখানে তিনি পদত্যাগের অনেক কারণের কথা জানিয়েছেন। তারপরেই কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ বিরোধী সামনে চলে আসে।
কারণের মধ্যে দিল্লিতে আম আদমি পার্টির সঙ্গে জোটের কথা উল্লেখ রয়েছে। লাভলি দাবি করেছেন, দিল্লির কংগ্রেস কর্মীরা আপের সঙ্গে জোটের বিরুদ্ধে ছিলেন। এখানেই শেষ নয়, চিঠি পদত্যাগের কারণ হিসেবে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে কানহাইয়া কুমারকে প্রার্থী করার কথাও উল্লেখ করেছেন তিনি। পদত্যাগের কারণ হয়ে ওঠে কানহাইয়া কুমারের অফিস উদ্বোধনের পোস্টার। সেখানে কোনও সিনিয়র নেতাকে দেখা যায়নি।
অরবিন্দর সিং লাভলির পদত্যাগের পরে কংগ্রেস নেতা সন্দীপ দীক্ষিত বলেছেন, ওই নেতার চিঠির বিষয়টি দলের বিবেচনা করা উচিত। অরবিন্দর সিং লাভলিকে দলের সম্পদ বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। প্রসঙ্গত প্রাক্তন সাংসদ সন্দীপ দীক্ষিত দিল্লি কংগ্রেসের বৈঠকে উত্তর-পূর্ব দিল্লির কংগ্রেস প্রার্থী কানহাইয়া কুমারকে নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন। এছাড়া উত্তর-পশ্চিম দিল্লির প্রার্থী উদিত রাজকে নিয়েও বিরোধ দেখা গিয়েছে।
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে দলের সাধারণ সম্পাদক কেসি বেনুগোপালকে অরবিন্দর সিং লাভলির সঙ্গে কথা বলতে নির্দেশ দিয়েছেন এবং দিল্লি কংগ্রেসের সংকট সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে চলেছেন।
বিজেপি নেতা দিল্লি থেকে কানহাইয়া কুমারকে টিকিট দেওয়ার কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, কানহাইয়া কুমার সশস্ত্র বাহিনীকে খারাপ কথা বলেন। মাওবাদীদের শহিদ বলেন। তার পরেও তাঁকে টিকিট দেওয়া হয়। তিনি বলেছেন, আপ দিল্লিতে মদ কেলেঙ্কারিতে জড়িত, সেই অভিযোগ করেছিল কংগ্রেসষ। আর তারাই আজ রাজনৈতিক কারণে আপের সঙ্গে মিলিত হয়েছে। সেখানে ভোটাটররা একসঙ্গে হবেন, তা মনে করার কোনও কারণ নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। নেতাদের ভন্ডাসমির জন্যই কংগ্রেস তাদের নেতাদের ধরে রাখতে পারছে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।