রণিত চক্রবর্তী :মিশরে ঘুরতে ঘুরতে অদ্ভুত অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছিলাম।

নীল নদী। মোলায়েম রবিনব্লু জলে ক্রুজ ভাসছে।সেই ভূগোলের দুরন্ত নীল নদ। দুপাড়ে গবাদিপশুর লালালাগা তৃণভূমি।

মরুভূমির মতো রঙের পাহাড়,খেজুর গাছ, আবার কখনো বঙ্গদেশের মতো সবুজ কাঁথাপাড় তটরেখা, সাধারণ মানুষের পরিচিত ঘরগেরস্থালি। কখনো বাড়িঘরদোর দেখে মনে হয় অপরিচয়ের রূপকথা, কখনো আবার পরিচিত বঙ্গবন্ধুর মতোই যেন । এই বোধহয় আমাদেরি ইছামতি।
হঠাৎ দেখি সাদা মিশরীয় পোশাকে কিছু তরুণ তুর্কি ভেলা ভাসিয়ে ক্রুজের পাশে পাশে চলছে। জলদস্যু নাকি ! ভুল ভাঙল তাদের আর্তনাদে। দস্যু আবার কবে কেঁদেছে।
তারা তাদের বিভিন্ন মিশরীয় পশরা নিয়ে ক্রুজের বাবু বিবিদের কাছে বেচাকেনার জন্য ভাসছে। ছুঁড়ে ছুঁড়ে দেখাচ্ছে তাদের পশরা ভিনদেশীর পছন্দের জন্য।
চিৎকার করছে স্হানীয় ভাষায় । অঙ্গবিন্যাস করে পশরার শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে এই ভাসমান ভ্রামনিক প্রতিষ্ঠান কে ।
কিন্তু। কিন্তু আশাহত হচ্ছে। ফিরে আসছে তাদের পশরা বেশিরভাগ। বঞ্চিত হচ্ছে তারা এই ভাসমান জাহাজের মুখোশ পরা মানুষগুলোর কাছে যারা কেবলই মুগ্ধ হওয়ার ভান লিখে এনেছে তাদের ভ্রমণের ডায়েরিতে।
এই কিশোরদের আর্তনাদ, গোঙানি রাগের শব্দ সেদিন শুনেছিলাম। বেদনার্ত হয়ে যাওয়া এদের আত্মার রঙে আরো নীল হয়ে উঠেছিল নদ।এদের ঠকে যাওয়ার শব্দ ঢেউ হয়ে আছড়ে পড়েছিল জাহাজের গায়ে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here