মুকুল, রাজীব ইত্যাদির পর অর্জুন সিং তৃণমূলে ফিরলেন। লাভ হলো বিজেপির। হিন্দুত্বের রাজনীতি তাদের লোকসভা ভোটে ১৮ আসন দিয়েছিল। বিধানসভা ভোটে দল বদলানোদের ওপর নির্ভর করতে গিয়ে ডুবেছে। তাঁরা সরছে। শুভেন্দু আর জিতেন্দ্র ছাড়া তেমন কেউ আর নেই। শুভেন্দু সব কথায় হিন্দু মুসলমান অংকে বলেন। আবার ওই রাস্তাই পাকড়ে ধরবে বিজেপি। ধরবেই। মোহন ভাগবত এমনি তো আর ৪ দিন ছিলেন না।
কেউ কেউ বোঝাবে ভাগবতকে মমতা ফুল মিষ্টি দিতে বলেছেন। এ দল থেকে ও দলে যাচ্ছে। তৃণমূল জমানায় আরএসএস দ্রুত বেড়েছে। অতএব তৃণমূল আর বিজেপি এক! আমার মতে, সেটা আসলে খেটে খাওয়ার সঙ্গে বেইমানি। ওই সব কোম্পানির কারও কারও আবার ব্র্যান্ড মডেল আব্বাস। বিজেপি ঠেকাবেন!
কত্তা ঘুড়ায়ও হাসবো!
…..
বহুজন আবার বাম ঐক্য বলে লাফালাফি করবেন। হ্যাঁ, আদর্শগত ও রাজনীতিগত ভাবে বিজেপিকে মোকাবিলার এক ও একমাত্র অস্ত্র বামপন্থা। কিন্তু কাকে বাম বলব? বামপন্থী হলে একা চলার ভাবনা নিয়ে থাকবেন না। সিপিএম একটা বড় মঞ্চ করেছে, তাতে কংগ্রেস আইএসএফ আপ ছাড়া প্রায় সবাই আছে…লিবারেশন, পিডিএস, এনসিপি, আরজেডি, জেডিইউ ইত্যাদি ইত্যাদি…।
তবে মনোভাবের ক্ষেত্রে যে সংকীর্ণতা যায়নি, সেটা বোঝা গেল আনিস খানের বাবাকে নিজেদের মঞ্চে হাজির করানোর তৎপরতা দেখে। অনেকে আমার কথায় আপত্তি তোলেন। ব্যক্তিগত পরিসরে বারবার বলেছি, অনেক বিষয় আছে। কিন্তু নির্ণায়ক দুটো ইস্যু। এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলন আর আনিসের মৃত্যু। ও দুটোই দলীয় রাজনীতির বাইরে ছিল। এসএসসির খেল দেখছি। আনিস মৃত্যু নিয়ে নানা মতের মানুষ সোচ্চার হচ্ছিলেন। বাবাকে নিজেদের মঞ্চে হাজির না করলে কি ইদের দিন বাড়ি যাওয়ার মানে থাকে? ছোট গণ্ডিতে ঢুকিয়ে দেওয়া হলো। এরা কিভাবে বিশ্বাসঘাতকতা করে, তার প্রমাণ। আগে লিখেছিলাম, মমতা অভিজ্ঞ রাজনীতিক। তাই আনিস কোন পার্টির এই প্রশ্নটা তুলে দিয়েছিলেন। সেই ফাঁদেই পা পড়ল। আগে বলেছি, আবার বলছি, চালু ধারার কোনও রাজনৈতিক দলের পক্ষে এই অচলায়তন ভাঙ্গা সম্ভব না। এসএসসি পার্টির হাত এড়িয়ে চলেছে, রাজ্য রাজনীতির মোড় ঘোরানো পরিস্থিতি তৈরি করতে পেরেছে। আনিস ইস্যু পারত। বাবাকে মঞ্চে তুলে সাহেবরা তাকে কবরে পাঠিয়েছেন।
…..
আমাদের রাজ্যের ক্ষেত্রে অবস্থাটা কঠিন। আদর্শগত ও রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলার শক্তি দুর্বল। ভোটের মাঠে বিধানসভায় মমতা ঠেকিয়েছেন। এরপর তিনি আর কিছু করতে পারবেন বলে মনে হয় না। তাই বলছি, কঠিন।
( মতামত ব্যাক্তিগত )