নিজস্ব প্রতিনিধি: সত্যি সত্যি তিনি পতিত জমিতে সোনা ফলাচ্ছেন। তিনি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলি ব্লকের পৌড়াহার গ্রামের বিষ্ণু চক্রবর্তী।
প্রান্তিক এই জেলার রুক্ষ মাটিতে তিনি যে আক্ষরিক অর্থেই সোনা ফলিয়েছেন তা আজ জেলা, রাজ্য এমনকি গোটা দেশেই সুবিদিত।
বয়েসের কাছে মাথা না নুইয়ে ৬৫ বছরের এক যুবক কৃষিক্ষেত্রে ছুঁয়েছেন একের পর এক মাইলস্টোন! অভাবের ঘরে নুন আনতে পান্তা ফুরোয় ; ঠিক এমন অবস্থাতেই আর পাঁচজনের মতো আত্মহত্যার কথাও একসময় ভেবেছিলেন।
কিন্তু ঘুরে দাঁড়িয়েছিলন তার স্ত্রীর কথায় মাটিটুকুকে সম্বল করে। প্রথমদিকে দিনমজুরীও করেছেন সংসারে ভিন্ন হবার পর থেকে। ওল, আখ চাষ দিয়ে শুরু করেছিলেন।
প্রতিজ্ঞা করেছিলেন বাবা-দাদার প্রথাগত চাষাবাদ করবেন না। এরপর যেমন মাটির আয়তন বেড়ে বেড়ে যেমন ২৫ বিঘা হয়েছে তেমন যুক্ত হয়েছে একের পর এক নতুন নতুন চাষ, নতুন পদ্ধতিতে।
গোটা জেলায় বিষ্ণুবাবুর কৃষি খামার শুধু সমগ্র সাধারণ কৃষক বা জেলাবাসীর কাছেই নয় তা জেলার কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের ছাত্রছাত্রীদের কাছেও হয়ে উঠেছে এক আদর্শ প্রদর্শন ক্ষেত্র। ২০০০ সাল থেকে তিনি এজোলা চাষ করেছেন