নিজস্ব প্রতিনিধি : হিলি, ১২ ডিসেম্বরঃ ১৯৭১ সালের ১২ ডিসেম্বর পাকিস্থান সেনার হাতে শহিদ হয়েছিল বাংলাদেশ মুক্তি যুদ্ধে সামিল ভারতীয় সেনা। পরবর্তীতে পাল্টা আক্রমণ হেনে হাজারের অধিক পাকিস্থান সেনাকে একসঙ্গে খতম করেছিল ভারতীয় সেনারাই উন্মুক্ত ভারত-বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী হিলি এলাকায় একসঙ্গে শহিদ ভারতীয় ৪০০ বেশী জন সেনার মর্মান্তিক মৃত্যু ইতিহাসে পাতায় আজও স্মরণীয়।
দেশের এই শহিদ বীরদের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার হিলির ফুটবল ময়দানে দাহ করা হয়েছিল একসঙ্গে। সেখানে ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে শহীদ বেদী তৈরি করে রাখা হয়েছে স্মৃতির উদ্দেশ্যে। প্রতিবারের মত এবারও ১২ ডিসেম্বর হিলির ওই ময়দানে ভারতীয় সেনার পক্ষ থেকে পালিত হল করা হল শহিদ দিবস।
এদিন সকালে শুরু হওয়া শ্রদ্ধার্ঘ অনুষ্ঠানে সেখানে উপস্থিত হন ১০০ ফিল্ড রেজিমেন্টের টি এস রাঠোর, জেলা সৈনিক বোর্ডের সম্পাদক সত্যব্রত চক্রবর্তী সহ ১৮৩, ১৯৯ ব্যাটেলিয়ানের বিএসএফ আধিকারিক, জেলা প্রশাসনেরকর্তা ব্যাক্তি ও পঞ্চায়েত প্রতিনিধিরা। সেখানে ডেপুটিকম্যান্ডার সহ উপস্থিত সকলেই পুস্পার্ঘ নিবেদন ও সেলুট এর মাধ্যমে যথাযোগ্য সন্মান নিবেদন করেন। উত্থাপন করা হয় ১৯৭১ এর ভারত-পাকিস্থান যুদ্ধ এবং সেখানে ভারতীয় সেনার ভূমিকা।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তি যুদ্ধে সামিল হয় ভারতীয় সেনা।দেশের অন্যান্য জায়গা তো বটেই মূল যুদ্ধটি হয় দক্ষিণদিনাজপুর জেলার হিলি দিয়ে। ভারত-বাংলাদেশের উন্মুক্ত সীমান্তে জড় হয়েছিল হাজার হাজার ভারতীয় সেনা। যাদের একটা অংশ বাংলাদেশের অনেকটা ভেতরে ঢুকে একটি বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিল।
সেখানেই পাকিস্থানে আচমকা হামলায় একসঙ্গে শহিদ৪০০ বেশী ভারতীয় সেনা। পরবর্তীতে পাল্টা আক্রমন করে হাজারের অধিক পাকিস্থান সেনাকে মারে ভারতীয় সেনা। স্বাধীন হয়েছিল বাংলাদেশ। এদিকে শহিদ ওই ৪০০ বেশী ভারতীয় সেনাকে হিলির মাঠে দাহ করা হয় বলে জানা যায়।
১০০ ফিল্ড রেজিমেন্টের টি এস রাঠোর, ২০২ ব্রীগেডের আওতায় ২০ মাউন্ট ডিভিশনের ১২ টি রেজিমেন্টের৪০০ বেশী জন সেনার শহীদ বেদি তৈরি করা হয়েছে হিলিতে। স্মৃতির উদ্দেশ্যে থাকা ওই শহিদ বেদিতে প্রতিবার সন্মান জ্ঞাপন করা হয়। এবার ও সম্মান জ্ঞাপনের আয়োজন করা হয়েছে সেনার পক্ষ থেকে।