নিজস্ব প্রতিনিধি : আগে বিষয়টা সীমাবদ্ধ ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের  অভ্যন্তরে । এখন ব্যাপারটা প্রকাশ্যে এসে গেল। হাতে গোনা আর কয়েকটি দিন বাকি লোকসভা নির্বাচনের। বালুরঘাটের আসন নিয়ে ইতিমধ্যেই কোঁদল শুরু হয়েছে ।

দলের বর্তমান সাংসদ অর্পিতা ঘোষ কি এবারও দলের প্রার্থী হবেন। দলের একটি গোষ্ঠীর দাবি তিনিই দলের প্রার্থী থাকছেন।

আর একটা গোষ্ঠী চায় না অর্পিতা ঘোষ এবার দলের টিকিট পান। ওই গোষ্ঠীর দাবি দলের প্রার্থী করা হোক তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি  বিপ্লব মিত্র।

এই নিয়ে প্রচার ও পাল্টা প্রচার এখন তুঙ্গে ।

 

 

 

 

দক্ষিন দিনাজপুরঃ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের বিজ্ঞপ্তি জারি এখনো হয়নি আর তার মধ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হওয়ায় নিয়ে ফের একবার গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এলো। জেলা তৃণমূল কর্মী সমর্থকদের একাংশ জেলা সভাপতিকে প্রার্থী চেয়ে ফের একবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে সরব হয়েছে। বালুরঘাট লোকসভা আসনে গতবারের জয়ী প্রার্থী অর্পিতা ঘোষকে প্রার্থী হিসেবে না পছন্দ করেই চলছে প্রচার। লোকসভা প্রার্থীর নাম ঘোষনা নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের এমন ভূমিকায় সরগরম দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার রাজনৈতিক মহল।
বালুরঘাট লোকসভা আসন থেকে কে হবেন তৃণমূলের প্রার্থী ? এই প্রশ্ন এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে। কারণ, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশ গতবারের জয়ী সাংসদ অর্পিতা ঘোষকে প্রার্থী হিসেবে চাইছেন না। দলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্রকে প্রার্থী করা হোক, এই দাবি করছন তাঁরা। সূত্রের খবর, অর্পিতা ঘোষ বিরোধী প্রচারও শুরু হয়েছে। যদিও এসবে কান দিতে নারাজ অর্পিতা ঘোষ।
বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্র সাতটি বিধানসভা নিয়ে গঠিত। গতবার এই আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন অর্পিতা ঘোষ। এবার এই আসনে জিততে তৎপর BJPও। তারা এখন থেকেই বালুরঘাট লোকসভা এলাকায় প্রচার শুরু করে দিয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসও আসনটি ধরে রাখতে চায়। তবে প্রার্থী কাকে করা হবে তা নিয়ে সামনে আসছে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল।
নতুন কাউকে টিকিট দেওয়ার পক্ষে তৃণমূল কংগ্রেস জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র তাঁর মতামত ব্যক্ত করেছেন কিছুদিন আগে। সোশাল মিডিয়ায় বেশ কিছুদিন ধরে বিপ্লব মিত্রকে প্রার্থী হিসেবে চেয়ে পোস্ট করে চলেছেন তাঁর অনুগামীরা। অর্পিতা ঘোষের বিরোধিতা করে গঙ্গারামপুর পৌরসভার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে ও সোশাল মিডিয়ায় একের পর এক পোস্ট করছেন বিপ্লব মিত্রর সমর্থকরা। সেখানে লেখা হয়েছে, “দক্ষিণ দিনাজপুর তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের উদ্দেশে বলছি, বর্তমান সাংসদ অর্পিতা ঘোষ কেন পাঁচ বছর সরকারি বাংলোতে থাকলেন। আর ভোট আসতেই বালুরঘাটে বাড়ি ভাড়া নিলেন। ২০১৪ সালে গঙ্গারামপুরে বাড়ি ভাড়া নিয়ে নাটক করেছিলেন। সেখানে একদিনও থাকেননি। আর ২০১৯ সালে বালুরঘাটে বাড়ি ভাড়া নিয়ে নাটক করছেন। আপনার নাটক দক্ষিণ দিনাজপুরবাসী বুঝে গেছে। তৃণমূল দলটা আমরা কষ্ট করে তৈরি করেছি। আর উনি উড়ে এসে জুড়ে বসেছেন। আপনার নাটক আর চলবে না জেলায়। অর্পিতা হটাও জেলা বাঁচাও।”

এবিষয়ে বিপ্লব মিত্র বলেন, “কর্মীরা চাইছেন নতুন মুখ। তারা তাঁদের মত করে দাবি তুলেছেন। কর্মীদের নানা মত থাকতেই পারে। নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিয়েই তাঁরা কাজ করবেন।”

এবিষয়ে অর্পিতা ঘোষ বলেন, “এটা পঞ্চায়েত নির্বাচন না যে জেলা থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে কে প্রার্থী হবেন। এবার লোকসভা নির্বাচন। গোটা জেলা জুড়েই একজন প্রার্থী হবেন। আর লোকসভায় প্রার্থী কে হবেন তা ঠিক করেন খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনের আগে এই ধরণের বিরোধিতা প্রতিবার ওঠে। আমি এগুলোকে গুরুত্ব ও পাত্তা দিচ্ছি না।”

 

 

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here