নিজস্ব প্রতিনিধি :বালুরঘাটঃ বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের চিকিৎসকদের প্রচেষ্টায় বাচল সাড়ে তিন বছরের শিশুর প্রাণ। ঘটনায় বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের দুই চিকিৎসকের ভূমিকা প্রশংসিত সব মহলে। ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার।
গত শুক্রবার পিঠে টিউমার নিয়ে বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্ত্তি হয় বালুরঘাটের ডাঙ্গি এলাকার সাড়ে তিন বছরের শিশু আকাশ দাস। এরপর শিশুটির পিঠে থাকা টিউমারের অস্ত্রপ্রচারের জন্য হাসপাতালেরই দুই চিকিৎসক ডাঃ অভিজিৎ বক্সি এবং ডাঃ শৌযেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী অসুস্থ শিশু আকাশ দাসকে হাসপাতালের ওটিতে নিয়ে যান। কিন্তু শিশুটির অপারেশন করার পূর্বেই শিশুটির খিচুনি শুরু হয়।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে কোন একটা এলার্জির কারনে শুরু হওয়া এই খিচুনির মাত্রা এত বেশী ছিল যে ঐ দুই চিকিৎসক একটানা ৪ ঘন্টা ধরে শিশুটির খিচুনি কমানোর জন্য শিশুটিকে ৩ রকমের ঔষধ প্রদান করলেও খিচুনি না কমায় চিকিৎসকরা চিন্তিত হয়ে পড়েন।
এরপর হাল ছেড়ে না দিয়ে আরও এক রকম ঔষধ প্রয়োগ করে তৎসহ ৪৫ মিনিট শিশুটিকে ভেন্টিলেশনে রেখে শিশুটির ক্রমাগত বাড়তে থাকা খিচুনিকে নিয়ন্ত্রনে আনতে সমর্থ হন। এরপর শিশুটিকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে রেখে চিকিৎসা করেন ঐ দুই চিকিৎসক। যার জেরে সাড়ে তিন বছরের অসুস্থ আকাশ দাস আজ সুস্থতার পথে।
নিজের ছেলেকে সুস্থ করতে সরকারি হাসপাতালের দুই চিকিৎসকের হাল না ছেড়ে দেওয়া এমন প্রচেষ্টায় খুশি আকাশের বাবা এবং মা। এদিন আকাশের বাবা মিন্টু দাস বলেন বাচ্চা এখন ভাল আছে। বাচ্চাকে ভাল করতে ডাক্তারবাবু যথেষ্ট চেষ্টা করেছেন। প্রসঙ্গত উল্লেখ যে এর কিছুদিন পূর্বেও বালুরঘাট হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ অভিজিৎ বক্সি এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবকের পেট থেকে কাঠের টুকরো বের করা সহ জটিল অস্ত্রপচারে সাফল্য পেয়ে সংবাদ শিরোনামে এসেছিলেন।
এদিনও বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের দুই চিকিৎসকের এমন আন্তরিক প্রচেষ্টা সহ সাফল্যে সাধারণ সহ বিত্তশালী মানুষদের আস্থা বালুরঘাট
সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের উপর বাড়বে বলে মনে করছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বাসিন্দারা। হাসপাতালের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাঃ শৌযেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী এদিন শিশুটি খাওয়া শুরু করেছে, দুই এক দিনের মধ্যে শিশুটিকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হবে। এর পাশাপাশি ডাঃ শৌযেন্দ্রনাথ ব্যানার্জী এও বলেন হাসপাতালের টিম ওয়ার্কের ফলে শিশুটিকে সুস্থ করা সম্ভব হয়েছে।