# বেঙ্গল ওয়াচের জন্য কলম ধরলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক শ্যামলেন্দু মিত্র #
।।।।।।।।।৷ শ্যামলেন্দু মিত্র ।।।।।।।।।।।
এই লজ্জা রাখি কোথায়!!
আপার প্রাইমারির পর প্রাইমারির শিক্ষক নিয়োগে অনাচার।
বারবার হস্তক্ষেপ করতে হচ্ছে হাইকোর্টকে।
এক মাসের স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে প্রাইমারির গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়ায়।
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে টেট পাশ চাকরি প্রার্থীদের একাংশ হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়।
তাদের অভিযোগ, টেট পাশ নয়,টেটের পরীক্ষায় বসেনি এমনদের রাতের অন্ধকারে নিয়োগ করা হয়েছে।
মেধা তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।
নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ৪ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিয়ে রাজ্য সরকার তথা প্রাথিমিক শিক্ষা পর্ষদের লিখিত বক্তব্য জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট।
কয়েক মাস আগেই আপার প্রাইমারির নিয়োগ নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগ মেনে নিয়ে গোটা নিয়ে হাইকোর্ট গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করে নতুন করে ভেরিফিকেশন থেকে প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেয়।
হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী স্কুল সার্ভিস কমিশন আপার প্রাইমারির টেট পাশ সব প্রার্থীর ভেরিফিকেশন করতে বাধ্য হয়েছে।
বাকি আছে ইন্টারভিউ ও নিয়োগ।
বাতিল হওয়া আপার প্রাইমারির ক্ষেত্রে মারাত্মক অভিযোগ ওঠে। পেন্সিলে নাম্বার দিয়ে পরে তা বদল করা হয়।
দীর্ঘ শুনানির পর কলকাতা হাইকোর্টের মাননীয় বিচারপতি মৌসুমী ভট্টাচার্য আপার প্রাইমারির নিয়োগ প্রক্রিয়া পুরো বাতিল করে দেন।
এর মধ্যেই প্রাইমারির নিয়োগ নিয়ে অস্বচ্ছতার অভিযোগে নিয়োগ প্রক্রিয়া ৪ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিয়ে মামলা চালু হয়েছে।
৪ সপ্তাহ পর শুনানি শুরু হওয়ার আগেই ভোট ঘোষণা হয়ে যাবে বলে ধরা হচ্ছে।
২০১১ সালে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে আজ পর্যন্ত একাধিক স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান বদল হয়েছে।
থামেনি শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে অভিযোগ।
মামলার পর মামলা।
নিয়ম হল, স্কুল শিক্ষক নিয়োগ হবে প্রশিক্ষনপ্রাপ্তদের থেকেই।
টেট পরীক্ষায় যারা পাশ করবে ও প্রশিক্ষনপ্রাপ্তরাই শিক্ষকের চাকরি পাবে।
কিন্তু দেখা যাচ্ছে, টেট অনুতীর্ণ ও অপ্রশিক্ষতদের নিয়োগ হচ্ছে।
মেধা তালিকা অর্থাৎ মেরিট লিস্ট প্রকাশ করা হচ্ছে না।
যে কোনও প্রতিযোগিতার পরীক্ষার মেরিট লিস্ট অর্থাৎ মেধা তালিকা প্রকাশ বাধ্যতামূলক।
ইঞ্জিনিয়ারিং বা মেডিকেলের রাজ্যভিত্তিক বা দেশভিত্তিক জয়েন্টে লাখ লাখ ছেলে মেয়ে পরীক্ষা দেয়।
সেখানে প্রত্যেকের নাম ও প্রাপ্ত নম্বর দিয়ে মেধা তালিকা প্রকাশ হয়।
যারা শূন্য পায় তাদেরও নাম ও প্রাপ্ত নম্বর মেধা তালিকায় স্থান পায়।
ব্যতিক্রম বাংলায় শিক্ষক নিয়োগের মেধা তালিকা প্রকাশ না হওয়া।
তার ফলে, কেলেঙ্কারি হচ্ছে নিয়োগ নিয়ে।
গোটা নিয়োগ প্রক্রিয়া চলছে গোপনে।
অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে চাকরি প্রার্থিরা বারবার মামলা করছে।
১) মূল অস্বচ্ছতা হলো,মেধা তালিকা প্রকাশ না করা।
২) এসএমএস করে ডেকে পাঠিয়ে নিয়োগ পত্র দেওয়ার অভিযোগ।
৩) বেশ কয়েকজন প্রার্থী হাইকোর্টকে জানিয়েছিল, তারা প্রত্যেকে টেট পাশ ও প্রশিক্ষনপ্রাপ্ত।
৪) তাদের না ডেকে প্রশিক্ষনহীন ও অযোগ্যদের ডাকা হয়।
কারণ এর ফলে গোটা স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থা কলঙ্কিত হয়েছে।
উচ্চ পর্যায়ের বিচারবিভাগীয় তদন্ত হলে দেখতে পাবেন,কত সব রাঘব বোয়াল এই কেলেঙ্কারিতে কারা কারা জড়িত।
লাখ লাখ গরিব ও নিম্নবিত্ত ছেলেমেয়েরা টেটে ভাল ফল করে প্রশিক্ষন নিয়ে চাকরি পাচ্ছে না,অথচ এক শ্রেণির ছেলে মেয়ে অসত উপায়ে চাকরি পাচ্ছে।
তাই দরকার শিক্ষক নিয়োগের আগাপাশতলা তদন্ত।
বিচারবিভাগীয় তদন্ত হলে তবেই সব তথ্য প্রকাশ হবে।