নিজস্ব সংবাদদাতা # মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, আমি কমপক্ষে ১৫ টি ভাষায় অল্পবিস্তর কথা বলতে পারি তিনি। কিন্তু আমাকে সেজন্য ‘নাটক-ড্রামা’ করতে হয় না।
মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন………….
১) আমি একাধিক ভাষায় কথা বলতে পারি।
২) কিন্তু সেজন্য আমাকে ‘পাবলিসিটি’ করতে হয় না।
৩) বাংলাকে তো টার্গেট করবে।
৪) বাংলার ইলেকশন আসছে না।
৫) শুনুন, আমি গুজরাতি ভাষায় কথা বলতে পারি।
৬) আর আমি গুজরাতি ভাষা লিখে নেব আমার ভাষায়।
৭) আমি সেটা পড়ে বক্তৃতা দেব।
৮) আমি ভিয়েতনামের ভাষা জানি।
৯) হ্যাঁ।
১০) আমি যখন ভিয়েতনামে গিয়েছিলাম তখন আমি ভিয়েতনামের ভাষা শিখেছিলাম।
১১) আর রাশিয়ার ভাষা কিছু জানি।
১২) কারণ আমি রাশিয়ায় গিয়েছি।
১৩) আমি শিখেছি একটু।
১১) আমি নাগামিজ জানি।
১৩) কারণ আমি নাগাল্যান্ডে অনেকদিন কাজ করেছি।
১৪) আমি মণিপুরী ল্যাঙ্গুয়েজ জানি।
১৫) আমি অসমিয়া ল্যাঙ্গুয়েজ জানি।
১৬) আমি ওড়িয়া ল্যাঙ্গুয়েজ ।
১৭) আমি পঞ্জাবি ল্যাঙ্গুয়েজ জানি।
১৮) আমি মারাঠি ল্যাঙ্গুয়েজ জানি।
১৯) আমি বাংলা জানি।
২০) আমি হিন্দি জানি।
২১) আমি উর্দু জানি।
২৩) আমি গোর্খা জানি।
২৪) আমি নেপালি জানি।
২৫) তাই বলে এটা নিয়ে আমি কখনও গর্ব করি না।
২৬) বরং আমি গর্ব করি, যদি তাঁদের কথা আমি একটু কথা বলতে পারি।
রবিবার ‘মন কি বাত’-এ ‘আত্মনির্ভর ভারত’-এর সওয়ালের সময় ‘অখ্যাত’ মনোমোহন বসুর কবিতা শোনান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ।
পরাধীন ভারতে স্বদেশি দ্রব্য ব্যবহারের আর্জি জানিয়ে কবিতা লিখেছিলেন তিনি।
তার আগে ঋষি অরবিন্দের নামও উঠে আসে মোদির কথায়।
আগে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কবিতাও বাংলায় বলেছিলেন।
তা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় যথেষ্ট ট্রোলের মুখে পড়েছিলেন।
আগামী বছরের বিধানসভা ভোট। তাই বঙ্গবাসীর মন জয়ের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, ঋষি অরবিন্দ, মনোমোহন বসুদের নাম বেছে নিচ্ছেন মোদি।
তাতে তৃণমূল কংগ্রেসের ‘বহিরাগত’ আক্রমণও ভোঁতা করা যাবে।
সেই প্রসঙ্গ উত্থাপন না করে মমতা ব্যানার্জি বলেন, পাবলিসিটির জন্য এই কাজ করা হচ্ছে। এর জন্য পাবলিসিটি করার দরকার নেই। আমি কোনও রাজ্যে গেলে, ফার্স্ট সেই রাজ্যের ভাষায় কথা বলি। সুতরাং নাটক-ড্রামা অনেক হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, টেলিপ্রম্পটার নিয়ে পড়ে যাওয়া হয়। চোখের সামনে কী আছে, কী দেখে রিডিং পড়ে যাচ্ছে পুরো। কেউ বুঝতে পারবেন না। যাঁরা জানেন, তাঁরা জানেন। টেলিপ্রম্পটারে বক্তৃতা দেওয়া আমেরিকায় আগে হয়েছে অনেকবার। ইউকেতেও হয়েছে। এবার ইন্ডিয়ায় এসব দেখতে পাচ্ছি।
মমতা বলেন, কেউ একটা বক্তৃতা দিতে গেল। তার দুটি কাগজও উড়ে গেল তো, তার ভাষণও উড়ে চলে গেল। এটা অন্তর থেকে করতে হয়। কেউ করবেন নাকি চ্যালেঞ্জ। যে কোনও রাজ্যের যে কোনও ভাষা, যে ভাষাগুলি আমি আপনাদের বললাম? হ্যাঁ, আমি একটু-আধটু জানি।
এদিন নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন………
১) আজকের সিপিএম সবচেয়ে বড় নির্লজ্জ। বিজেপির সন্তান !
২) সিপিএমের লজ্জা থাকা উচিত।
৩) আজকের দিনে বিজেপির সবচেয়ে বড় সন্তান হচ্ছে সিপিএম।
৪) আজকের সিপিএমকে কেউ চেনে না।
৫) আজকের সিপিএম সবচেয়ে বড় নির্লজ্জ।
৬) বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য এবং জ্যোতি বসুও এইরকম ছিলেন না।
এই কথা বলে হাতজোড় করে বামপন্থী বন্ধুদের সম্মান প্রদর্শন করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন………
১) রাজ্য সরকারের দিকে আঙ্গুল তোলা হচ্ছে।
২) কেন্দ্রীয় সরকারের একাধিক ফান্ডের কোন হিসেব নেই। কোনও ফান্ডের অডিট হয় না।
৩) আইন কেন দু’রকমের হবে!
৪) বারবার বাংলার সরকারকে নিশানা করা হচ্ছে।
৫) তার কারণ, এই সরকার ভালো কাজ করছে।
৬) ভালো কাজ করার জন্যই বড্ড হিংসে কেন্দ্রীয় সরকারের।
৭) সেই কারণেই বারবার এখানে-ওখানে এজেন্সি লাগিয়ে রাজ্য সরকারের বদনাম করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
৮) বাংলা গুজরাট নয়। বাংলা উত্তরপ্রদেশ নয়। বাংলা বাংলা।
১০) বাংলা সবাইকে চ্যালেঞ্জ করতে পারে।
১১) কেউ যদি ব্যক্তিগতভাবে পকেট থেকে চিরকুট বের করে বলে এটা করতে হবে, তাহলে সেটা করা সম্ভব নয়।
১৩) কেন্দ্রীয় সরকার এমন কিছু প্রকল্পের কথা বলছে যেটা ইতিমধ্যেই বাংলায় চলছে।
১৪) তাহলে সেই প্রকল্প আলাদা করে চালানোর মানে নেই।