নিজস্ব সংবাদদাতা # ৪ লক্ষ কাশ্মীরিকে যখন ১৯৯০ সালে ইসলামিক সন্ত্রাসে উপত্যকা ছাড়তে হয় তখন সমগ্র বিশ্ব নীরব ছিল কেন? আমেরিকায় এই রকম চাচাছোলা ও তীব্র ভাষায় প্রশ্ন তুললেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ভাষ্যকার ও লেখিকা সুনন্দা বশিষ্ঠ। সুনন্দা কাশ্মীরি পণ্ডিত পরিবারের মেয়ে।
সুনন্দা বলেন,সন্ত্রাসবাদীরা কাশ্মীরি হিন্দুদের তিনটি পছন্দের কথা বেছে নিতে বলেছিল। ১) হয় পালিয়ে যাও। নাহলে ধর্ম পরিবর্তন করো। ৩) নইলে মৃত্যুবরণ করো। সুনন্দা বলেন, ৩০ বছর পেরোলেও এখনও আমরা আমাদের কাশ্মীরে বাড়িতে যেতে পারিনি ।
অ্যামেরিকার আইনজীবীদের প্রশ্নের উত্তরে তীব্র ভাষায় সরব হলেন বিশিষ্ট রাজনৈতিক ভাষ্যকার ও লেখিকা সুনন্দা বশিষ্ঠ ।
সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে ভারতের একটানা প্রচেষ্টা কথা তুলে ধরে সুনন্দা বলেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই কাশ্মীরে মানবাধিকার রক্ষার কারণেই ৷ কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ ৷ ভারতের লাগাতার লড়াই পঞ্জাবে ও উত্তর-পূর্বে সন্ত্রাস সমস্যা দূর করেছে।
সুনুন্দা বলেন, ১৯৯০ সালে ইসলামিক স্টেটের মতো নৃশংস ও ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদের সাক্ষী কাশ্মীর ৷ সিরিয়ার সন্ত্রাসবাদের ধাঁচেই কাশ্মীরে সন্ত্রাস চালানো হয়েছে ৷
ওয়াশিংটনে মানবাধিকার কংগ্রেসে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বৃহস্পতিবার এমনই বক্তব্য পেশ করেন কাশ্মীরি পণ্ডিত পরিবারের মেয়ে সুনন্দা ৷
পশ্চিমী বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের বিষয়ে সঠিকভাবে জানার অনেক আগেই পাকিস্তানে প্রশিক্ষিত জঙ্গিরা কাশ্মীরে সিরিয়া ধাঁচে ভয়াবহতার পরিস্থিতি তৈরি করেছিল বলেও অভিযোগ করেন সুনন্দা ।
তিনি দ্ব্যর্থহীন ভাষায় কাশ্মীরে সন্ত্রাসের ছবি তুলে ধরে বলেন,আমরা কাশ্মীরে ইসলামিক স্টেটের সন্ত্রাসের মতো ভয়াবহতার সম্মুখীন হয়েছি। আজ থেকে ৩০ বছর আগে থেকে এই সন্ত্রাসের সাক্ষী আমরা। পশ্চিম আজ তা বুঝতে পারছে।
সুনন্দা বলেন,আমি, আমার পরিবার ও আমাদের মতো আরও অনেকে তাঁদের ঘরবাড়ি, শৈশব এবং জীবনযাপনের সমস্ত কিছু হারিয়ে ফেলেছিলাম । সেসময় এই সন্ত্রাস দেখেও বাকি বিশ্ব নীরব ছিল
মানবাধিকার কমিশনের শুনানির সময় এইচআর কমিশনের টম লেনটসকে উদ্দেশ্য করে তিনি কঠোর ভাষায় তাঁর বক্তব্য তুলে ধরেন । সুনন্দা বশিষ্ঠ কাশ্মীরে ইসলামিক সন্ত্রাসের কথা তুলে ধরে বলেন, ভারতের পরিচয় শুধুমাত্র ৭০ বছরের নয় । এই সভ্যতা ৫ হাজার বছরের প্রাচীন। কাশ্মীর ছাড়া ভারত নয়, ভারত ছাড়া কাশ্মীরকে ভাবাই যায় না।
সুনন্দা প্রশ্ন তুলেছেন, ৪ লক্ষ কাশ্মীরিকে যখন ১৯৯০ সালে ইসলামিক সন্ত্রাসের কারণে উপত্যকা ছাড়তে হয় তখন সমগ্র বিশ্ব নীরব ছিল কেন ?সুনন্দার কথায়, যখন কাশ্মীরি হিন্দুদের অধিকার হরণ করা হয়েছিল, তখন সারা বিশ্ব নীরব ছিল । সন্ত্রাসবাদীরা কাশ্মীরি হিন্দুদের তিনটি পছন্দের কথা বেছে নিতে বলেছিল। ১) পালিয়ে যাও। নাহলে ধর্ম পরিবর্তন করো। ৩) নইলে মৃত্যুবরণ করো। সুনন্দা বলেন, ৩০ বছর পেরোলেও এখনও আমরা আমাদের কাশ্মীরে বাড়িতে যেতে পারিনি ।
অ্যামেরিকায় আইনজীবীরা কাশ্মীরে নিরাপত্তার কড়াকড়ি, ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ রাখা, কয়েকজন নেতাকে গৃহবন্দী করে রাখা নিয়ে সরব হন। এরপরই সুনন্দা তাঁর বক্তব্য পেশ করেন ৷
Thanks in support of sharing such a good opinion, paragraph is good, thats why i have read it entirely
Thnx.for comment and suggestion.