বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:সিন্ধু নদী পাকিস্তান ও ভারত দিয়ে প্রবাহিত। কোনো নদী দুটি দেশের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হলে, সেই দুই দেশের মধ্যে সেই নদীর জল বন্টন নিয়ে চুক্তি করতে হয়। সেই নিয়েই ভারত সরকার চিঠি দিলো পাকিস্তানকে।
চিঠিটা দেওয়া হয়েছিল ৩০ আগস্ট। যদিও কিছু কূটনৈতিক কারণে তা সামনে আসে ১৮ সেপ্টেম্বর। বিষয় হলো সিন্ধু নদীর জল বন্টন নিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের আন্তর্জাতিক চুক্তি হয়েছিল ৬২ বছর আগে। সেই চুক্তির বহু ধারাকে সময় উপযোগী করার জন্য ভারত ২০২৩ সাল থেকে নতুন করে উদ্যোগ শুরু করে। আন্তঃসীমান্ত নদী সম্পর্কিত বিরোধগুলির মীমাংসার ক্ষেত্রে ইসলামাবাদের যে অস্থির দৃষ্টিভঙ্গি, সেই কারণেই এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বুধবারই (১৮ সেপ্টেম্বর) এই নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি সামনে আসলেও, এটি পাঠানো হয়েছে গত ৩০ অগস্ট। চুক্তির ১২ (৩) ধারার আওতায় এই নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে ২০২৩-এর ২৫ জানুয়ারি, ভারতের পক্ষ থেকে এই চুক্তির একটি পরিবর্তনের জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিল ভারত। এই মুহূর্তে বল পাকিস্তানের হাতে। দেখতে হবে পাকিস্তান এই বিষয়ে কোন পদক্ষেপ নেয়।
এদিকে তিস্তার জল বন্টন নিয়ে ভারতের উপর চাপ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ। সিন্ধুর চুক্তি নিয়ে সেই আবার নতুন করে চিঠি দিয়ে ভারত পাকিস্তানকে জানায়, এই মুহূর্তে নদী চুক্তির কতগুলো মৌলিক পরিবর্তন দরকার। জানা গিয়েছে, পরিস্থিতির মৌলিক এবং অপ্রত্যাশিত পরিবর্তনগুলিকে তুলে ধরা হয়েছে ভারতের পাঠানো নোটিশে। ঠিক কী কারণে সিন্ধু জল চুক্তির বিভিন্ন ধারার অধীনে বাধ্যবাধকতাগুলির পুনর্মূল্যায়ন প্রয়োজন, তা জানিয়েছে নয়া দিল্লি। জনসংখ্যা পরিবর্তন, পরিবেশগত সমস্যা এবং ভারতের কার্বন নির্গমন শূন্য করার লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য পরিচ্ছন্ন শক্তির দ্রুত বিকাশ, ক্রমাগত আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের প্রভাবের মতো আরও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। প্রসঙ্গত, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে নয় বছর ধরে আলোচনার পর, ১৯৬০ সালে সিন্ধু জল চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এর মধ্যস্থতা করেছিল বিশ্বব্যাঙ্ক। তারাও এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল। এখন ভারত সেই চুক্তিতে নতুন কয়েকটি খসরা যুক্ত করতে চাইছে।