বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছেন এমন ২৯ জনের পরিবারকে আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আর যত গন্ডগোল ওই ২৯ জনের নামের তালিকা নিয়ে।

 

জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিবাদ অবস্থানকালে চিকিৎসা না পেয়ে অন্তত ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে রাজ্য সরকার। আর সরকারের তহবিল থেকে তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা করে সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। এতে হয়তো জুনিয়র চিকিৎসকদের আন্দোলনের বিরুদ্ধে জনরোষ তৈরী হতে পারে,কিন্তু সত্য নিষ্ঠতা কি বজায় থাকলো। তেমনই এক খবর সামনে এসেছে। মৃতদের তালিকাকে হাতিয়ার করে সুপ্রিম কোর্টেও হাসপাতালে পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার কথা উল্লেখ করেছে রাজ্য। এই পরিস্থিতিতে মৃতের তালিকায় থাকা বাঁকুড়ার এক রোগীর পরিবার বলছে, হাসপাতালে মৃত্যু হয়নি তাদের রোগীর। নার্সিংহোমে মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে হাসপাতালে ভর্তি থাকার সময় ঠিকমতো পরিষেবা পেয়েছেন বলেও জানালেন ওই রোগীর পরিজনরা। ফলে মুখ পুড়লো সরকারের। সরকারের সত্য নিষ্ঠতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেলো। বাঁকুড়ার শিবুর মৃত্যু কিন্তু সরকারি হাসপাতালে আদপেও হয় নি। এটাই সরকারের পরিকাঠামো।

ঘটনা হলো, বাঁকুড়ার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিবেকানন্দ পল্লির বাসিন্দা শিবু মালাকার পেশায় ছিলেন মুটে। অভাবের সংসার কোনওভাবে চলে। গত ১১ অগস্ট সিভিয়ার ব্রেইন স্ট্রোক হয় শিবুর। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে। সেখানে গত ১৬ অগস্ট পর্যন্ত চিকিৎসাধীন ছিলেন শিবু। চিকিৎসায় সাময়িক সুস্থ হয়ে ওঠায় তাঁকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে তিনি বাড়ি ফিরে যান। পরে ফের তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে নিকটবর্তী একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেই নার্সিংহোমেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২২ অগস্ট মৃত্যু হয় শিবুর। এদিকে সেই ২৯ জনের নামের তালিকায় শিবুর নাম আছে। ক্ষতিপূরণের টাকা এখনও তাঁরা পাননি বলে জানালেন। শিবুর স্ত্রী বলেন, “আমরা গরিব মানুষ। সরকার যদি দেয়, তাহলে টাকা নেব।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *