বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘ ৩৭ দিন পরে জুনিয়র ডাক্তারদের নিয়ে শেষ পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রীর আলোচনা হয়। আলোচনা অনেকটাই সফল বলে দুপক্ষই দাবি করেন। আন্দোলনকারীরা জানান, ৫ দফা দাবি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
কিছু বিষয় নিয়ে সদর্থক আলোচনা হয়েছে। চিকিৎসকরা জানান, কলকাতা পুলিশের সিপি, ডিসি নর্থ, স্বাস্থ্য অধিকর্তা, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে সরানো হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে সে আশ্বাস মৌখিক। আন্দোলনকারী জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদারের কথায়, “যতক্ষণ না অবধি এর বাস্তবায়ন ঘটছে, ততক্ষণ অবধি আমরা আমাদের আন্দোলন, অবস্থান, কর্মবিরতি নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেব না। আগে বাস্তবায়ন হবে, সুপ্রিম কোর্টে মঙ্গলবার শুনানি হবে, তারপর আমরা প্রত্যেকটা কলেজের জুনিয়র ডাক্তাররা সকলে বসে নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেব। তার আগে নয়।” বিষয়টা স্পষ্ট আলোচনা যেহেতু মৌখিক, তাই তা রূপায়ন নিয়ে এখনও সন্দীগ্ধ জুনিয়র ডাক্তাররা।
জুনিয়র চিকিৎসক অনিকেত মাহাতো বলেন, “সুপ্রিম কোর্টে যেমন মামলা চলছে, তেমনই রাজ্য সরকারের কাছেও আমাদের কিছু দাবিদাওয়া আছে। বারবার আমরা তাই আলোচনায় বসতে চেয়েছি। আমাদের সদিচ্ছার কোনও অভাব ছিল না। ৯ তারিখের ঘটনা ও পরবর্তী ঘটনাক্রমে বাধ্য হয়েছেন উনি বলতে সিপিকে সরাতে হবে। ডিসি নর্থকেও সরানোর কথা বলেন।” এদিন অনিকেত বলেন, স্বাস্থ্যভবনের দুর্নীতি নিয়ে বলা হয়েছে। সন্দীপ ঘোষের বাড়বাড়ন্ত কার জন্য, তা নিয়েও বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যসচিবকে সরানোর প্রস্তাবও বিবেচনা করে দেখতেই হবে বলে জানিয়ে এসেছেন তাঁরা।