বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:শুক্রবার রাত থেকে টানা বৃষ্টি চলছে কলকাতা এবং সংলগ্ন শহরতলিতে। কখনও বৃষ্টির বেগ বাড়ছে, কখনও কমছে। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাল, শনিবার দিনভর ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে শহরে। সেই সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতেও ঝড়বৃষ্টি হতে পারে। নিম্নচাপের প্রভাবেই এই বৃষ্টি। শনিবার দক্ষিণের দু’টি জেলায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
হাওয়া অফিস জানিয়েছে, বাংলাদেশ উপকূলে থাকা নিম্নচাপ ক্রমে পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে সরেছে। গত ছ’ঘণ্টায় তার গতি ছিল ঘণ্টায় ২৩ কিলোমিটার। নিম্নচাপটি বর্তমানে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এই মুহূর্তে তার অবস্থান বাংলাদেশ এবং সংলগ্ন গাঙ্গেয় বঙ্গের উপর। ক্যানিং থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে ৯০ কিলোমিটার এবং কলকাতা থেকে পূর্ব-উত্তর পূর্ব দিকে ১০০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে ওই নিম্নচাপ। শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত গভীর নিম্নচাপ রূপেই তা ক্রমে পশ্চিম-উত্তর পশ্চিম দিকে সরবে। তার পর শক্তি হারিয়ে ঝাড়খণ্ডের দিকে চলে যাবে। এই নিম্নচাপ পরিস্থিতির দিকে অনবরত নজর রেখেছে আলিপুর হাওয়া অফিস।
হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, শনিবার দক্ষিণবঙ্গের সব ক’টি জেলাতেই বৃষ্টি হবে। পশ্চিম মেদিনীপুর এবং বাঁকুড়ায় জারি করা হয়েছে লাল বা চূড়ান্ত সতর্কতা। ওই দুই জেলায় শনিবার ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ২০ সেন্টিমিটারের বেশি বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে কোথাও কোথাও। এ ছাড়া, শনিবার অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে বীরভূম, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর এবং হুগলিতে। কলকাতা, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়াতেও শনিবার ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস।
নিম্নচাপের কারনে টানা বৃষ্টি।বৃষ্টির কারনে ব্যহত হচ্ছে জনজীবন। শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হয়েছে বৃষ্টি সাথে ঝোড়ো হাওয়া। গতকালের পাশাপাশি আজও চলছে এক নাগাড়ে বৃষ্টি সাথে ঝোড়ো হাওয়া। ফলে রাস্তা ঘাটে মানুষজনে দেখা নেই।গুটি কয়েক মানুষ তাদের দরকারে বেরিয়েছেন। জেলার বিভিন্ন এলাকায় জল থৈথৈ অবস্থা। শিল্প শহর হলদিয়ার বিভিন্ন জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। সেই জল যাতে দ্রুত বের করানো যায় তার ব্যবস্থায় ব্যস্ত স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসন। গাঙ্গেয় এলাকায় বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাড়বে বৃষ্টি ও ঝড়ের মাত্রা।