বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: একথা অস্বীকার করার উপায় নেই, বিরোধী নেত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবস্থান বিক্ষোভ আন্দোলকে একটা বিশেষ জায়গায় নিয়ে গিয়েছিলেন সিঙ্গুর আন্দোলনের সময়। সিঙ্গুর পর্বে ধর্মতলায় ২৬ দিন অনশন করেছিলেন।
দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে পাশে লাগাতার ধরনা-অবস্থান করেছিলেন জমি ফেরতের দাবিতে। শুধু সিঙ্গুর বা নন্দীগ্রাম পর্বে নয়, বিভিন্ন সময়েই অবস্থানের উপরে জোর দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই পথেই হাঁটছে বিরোধী দলগুলো। এই বিষয়ে বিজেপি থেকে এক পা এগিয়ে আছে সিপিএম।
আর জি কর কান্ড নিয়ে প্রতিদিন হয়ে চলেছে বিভিন্ন জায়গায় আবস্থান বিক্ষোভ আন্দোলন। বিজেপি প্রথম দফায় শ্যামবাজারে ধরনা অবস্থান করেছিল। পরে দ্বিতীয় দফায় ধর্মতলায় ধরনার সিদ্ধান্ত নেন গেরুয়া ব্রিগ্রেড। যা তৃতীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। মেয়াদ বৃদ্ধি হয়েছে আদালতের অনুমতি ক্রমে। অন্যদিকে ৩ সেপ্টেম্বর শ্যামবাজারে উপচে পড়া মিছিলের পরে রাস্তা দখল করে কর্মসূচি শুরু করে সিপিআইএম। তারপরে আদালতের অনুমোদন নিয়ে অবস্থান শুরু করেছে সিপিআইএমের ছাত্র যুব এবং মহিলা সংগঠনের নেতা কর্মী সমর্থকরা। এর আগে আর জি করে তারা অবস্থান বিক্ষোভ করেন।
নাগরিক মহল মনে করছেন, এই অবস্থান বিক্ষোভের মধ্য দিয়েই বাম শক্তি আবার প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠতে চাইছে। বিরোধীরা মনে করেন, মিটিং বা মিছিল কয়েক মুহূর্তের জন্য। কিন্তু যেকোনো অবস্থান মানুষের মনে দীর্ঘমেয়াদি প্রতিফলন ঘটে। সেই কারণেই বামেরা এখন পথেই অবস্থানে আসছে।