বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে এর আগে তিস্তার জল বন্টন নিয়ে একাধিকবার আলোচনা হলেও বিশেষ কোনো ফল পাওয়া যায় নি।

এবার বাংলাদেশের নতুন সরকারের পরিবেশ ও জল উপদেষ্টা, সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বাস্তবিক হাসিনার সঙ্গে জল বন্টন নিয়ে কোনো আলোচনাই হয় নি। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনো ভাবেই বাংলাদেশকে অতিরিক্ত জল দিতে রাজি না। তার ফলে দু’দেশের বন্ধুত্বের সম্পর্কের মধ্যে আঘাত আসছে। বুধবার,২১ অগস্ট সকালে, বাংলাদেশের পরিবেশ ও জল উপদেষ্টা বলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে নিজের দেশের মানুষের কথা চিন্তা করছেন, তিস্তা প্রকল্প নিয়ে আমরাও আমাদের মানুষের কথা ভেবে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেব। তিস্তা পাড়ের মানুষদের মতামত নিয়েই এই বিষয়ে কাজ শুরু করা হবে।” এর ফলে দ্বিপাক্ষিক বিষয়টি অশান্তির্জাতিক ক্ষেত্রে চলে যেতে পাড়ে।

তিনি আরও জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে ‘বন্ধুপ্রতিম সম্পর্ক’ রাখতে চায় বাংলাদেশের নয়া সরকার। কিন্তু, প্রয়োজনে তিস্তা নদীর জল বন্টনের বিষয়টি তারা আন্তর্জাতিক মহলে নিয়ে যাবে। এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ চাইবে। সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের এই মন্তব্য নয়া দিল্লির কপালে ভাঁজ ফেলার মতো। দ্বিপাক্ষিক বিষয়গুলিতে কোনও তৃতীয় পক্ষর হস্তক্ষেপ নয়া দিল্লি কখনই চাইবে না। বিশেষ করে, ওঁত পেতে আছে চিন। ভারত সফরের পরই চিন সফরে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের পূর্ববর্তী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই খুবই গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টি নিয়ে ভাবছে ভারত সরকার। আগে, ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সঙ্গে বৈঠকে তিস্তার জলের ‘ন্যায্য হিস্যা’ চেয়েছিলেন বাংলাদেশের বিদেশ উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। তিনি বলেছিলেন, “জল কম আছে আমি জানি। এমনকি এক দেশের জন্য যা প্রয়োজন আছে, সেটুকুও নেই। কিন্তু আছে তো। একশো কিউসেক জলও যদি থাকে, তার মধ্যে ৩০ কিউসেক আপনারা আমাদের দিতে পারেন না?” জল বিষয়টি এতটাই সেনসেটিভ যে তা গভীর উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে ভারতের কাছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *