বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:আরজি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে PGT মহিলা চিকিৎসকের রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় বাড়ছে উত্তেজনা। মুখ্যমন্ত্রী ফোনে কথা বললেন মৃত চিকিৎসক ছাত্রীর বাবার সঙ্গে। মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন তাঁর বাবা।
আরজিকর হাসপাতালের সেমিনার হলের স্ট্রেচারে অবিন্যস্ত অবস্থায় পড়েছিল তাঁর দেহ। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। তাঁর সহপাঠীরাও অভিযোগ করেছেন। ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের দাবি করা হয়েছে। দেহ আগলে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন তাঁরা। তারপরে ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের আশ্বাস দিয়ে দেহ নিয়ে যাওয়া হয় ময়নাতদন্তের জন্য।
ইতিমধ্যেই আরজিকর হাসপাতালে ময়নাতদন্ত চলছে। ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে ময়না তদন্তের দাবি জানিয়েছিল আরজিকর হাসপাতালের পড়ুয়া চিকিৎসকদের সংগঠন। নাইট ডিউটিতে মহিলা চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয় সেমিনার হলে। অবিন্যস্ত অবস্থায় ছিল তাঁর পোশাক। গায়ে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছিল।
মৃত চিকিৎসকের বাবা অভিযোগ করেন তাঁর মেয়েকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে। তাঁর মেয়ের দেহ দেখতে দেওয়া হয়নি। দুপুরেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিলেন কলকাতা পুলিশের সিপি বিনীত গোয়েল। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ফরেনসিক টিমও। তারপরেই হাসপাতালে পড়ুয়া চিকিৎসকরা সহপাঠী দেহ আটকে বিক্ষোভ দেখায়। তাঁরা ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের দাবি জানায়।
ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করে হাসপাতাল থেকে মোমবাতি হাতে মিছিল করছে চিকিৎসক পড়ুয়ারা। তাতে সামিল হয়েছে চিকিৎসক পড়ুয়াদের সংগঠনগুলিও। বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে হাসপাতালেও নিরাপদ নয় মহিলা চিকিৎসকরা। অমিত মালব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্ষণ করে খুনের ঘটনাকে ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। বিজেপি নেতা সজল ঘোষের নেতৃত্বে বিজেপি কর্মীরা আরজিকর হাসপাতালের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছিলেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের তুলে দেয়।
এর আগে কোনও হাসপাতালের ভেতরে এমন ঘটনা ঘটেনি বলে অভিযোগ করেছেন আরজির হাসপাতালের পড়ুয়ারা। সেমিনার রুমে কেন কোনও সিসিটিভি ফুটেজ ছিল না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন চিকিৎসক পড়ুয়ারা। হাসপাতালে যাঁরা নাইট ডিউটি করেন তাঁদের বিশ্রামের কোনও জায়গা থাকে না বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা।
ইতিমধ্যেই ৫ সদস্যের টিম গড়ে তদন্ত শুরু করেছে আরজিকর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পুরো ঘটনায় হাসপাতালের সুপার বা ডিনকে দায়ী করেছে ডাক্তারি পড়ুয়ারা। কয়েকদিন কয়ে হাসপাতালের এই সেমিনার হলে কয়েকজন রোগী পক্ষের আত্মীয় ঢুকে পড়েছিলেন মদ্যপ অবস্থায়। তারপরেও টনক নড়েনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। তাই নিয়ো ক্ষোভ আরও বেড়ে গিয়েছে।
ফরেনসিক টিম খতিয়ে দেখেছে সেখানকার পরিস্থিতি। তাঁরা জানিয়েছেন চাদর দিয়ে ঢাকা ছিল দেহ। মুখে এবং গলায় আঘাত ছিল বলে জানিয়েছেন তাঁরা। হাসপাতালের চিকিৎসক পড়ুয়ারা অভিযোগ করছেন তাঁকে খুন করা হয়েছে। চেষ্ট মেডিসিন বিভাগের পড়ুয়ারা ক্ষোভে ফুঁসছেন।