বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: মির্জা গালিব স্ট্রিটের গা ঘেঁসেই রয়েছে এই জায়গাটি। প্রতিদিন ঢাকা-কলকাতা বাস ছাড়ে এই জায়গা থেকেই। বাংলাদেশি মূদ্রা বিনিময় কেন্দ্র থেকে শুরু করে বাংলাদেশি খাবার সবটাই মেলে এখানে। কলকাতার ছোট্ট একটা জায়গা এই মারকুইস রোড।

একেবারে বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি এই মারকুইস রোড। যেখানে বাংলাদেশি খানাপিনা থেকে শুরু করে পোশাক-টাকা সবই মেলে। প্রতিদিন এখান থেকে ঢাকার উদ্দেশে বাস ছাড়ে। ইদের শপিং থেকে চিকিৎসা সব কিছুর জন্য এই কলকাতার এই বাংলাদেশি পাড়াকেই ভরসে করেন সেদেশের মানুষ।

বাংলাদেশে অশান্তির আঁচে মারকুইস রোডের ব্যাবসায়ীরাও সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। কারণ বাংলদেশ থেকে আনা গোনা অনেকটাই কমে গিয়েছিল। দিন রাত যে রাস্তায় বাংলাদেশিদের আনোগোনায় গমগম করত সেখানে দোকানপাট এখন খাঁ খাঁ করছে। মুর্গপোলাও থেকে কচুপাতা চিংড়ির গন্ধ ফিকে হয়ে গিয়েছে। যে স্বাদের টানে কলকাতার বাঙালিরাও ভিড় করেন সেখানে।

হাসিনার সরকারের পতনের পর কলকাতার এই বাংলাদেশি পাড়ায় উল্লাসের ছবি ধরা পড়েছিল। কিন্তু সেটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। কারণ দেশের ফেরার চিন্তা জাঁকিয়ে বসেছিল তাঁদের উপরে। হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা-বাংলাদেশ বাস পরিষেবা এবং বিমান পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এমনকী ট্রেন পরিষেবাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের সীমান্ত গুলিও বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। বিএসএফ কড়া নজরদারি চালাচ্ছে সেখানে। সব দিক দিয়ে আটকে পড়েছেন বাংলাদেশিরা। কাজেই কীভাবে ঘরে ফিরবেন তাঁরা তাই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এদিকে পরিস্থিতির দিকে নজর কেছে মারকুইস রোডের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশি পাহারা বাড়ানো হয়েছে সেখানে। যাতে কোনও রকম অপ্রীতিক অবস্থা তৈরি না হয় সেকারণে অতিরিক্ত নজরদারি চালানো হচ্ছে। এলাকার একাধিক হোটেলেও নজরদারি চালানো হচ্ছে। কোথাও যাতে কোনও রককম জমায়েতক তৈরি না হয় সেদিকেও নজর রাখা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *