বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::

 

ইন্দ্রপতন শাস্ত্রীয় সঙ্গীত জগতে। উস্তাদ রশিদ খান চলে গেলেন। মাত্র ৫৫ বছর বয়সে তাঁর দরাজ কণ্ঠস্বর থেমে গেল৷ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গভীর শোকাহত। মুখ্যমন্ত্রীর চোখেমুখেও স্পষ্ট ফুটে ওঠে শোক, হতাশার ছাপ। কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন উস্তাদ রশিদ খান।

শারীরিক পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটজনক হওয়ায় তাঁকে শেষ দিকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল৷ ২২ নভেম্বর ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছিলেন উস্তাদ। তখন থেকেই তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দু:সংবাদ পাওয়ার পরেই হাসপাতালে চলে আসেন।

চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর তিনি বেরিয়ে এসে এই মৃত্যুর কথা জানান। মুখ্যমন্ত্রী উস্তাদ রশিদ খানের সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করেন। তাঁর সঙ্গে শিল্পীর অত্যন্ত গভীর সম্পর্ক ছিল। রশিদ নেই। ভাবলেই গাঁয়ে কাঁটা দিচ্ছে। এই অভাব আর পূরণ হবে না। এই কথাই বললেন মুখ্যমন্ত্রী।

দীর্ঘ সময় ধরেই শাস্ত্রীয় সঙ্গীত শিল্পী উস্তাদ রশিদ খান অসুস্থ ছিলেন। একাধিক হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা হয়েছে। ইউকে-এর হাসপাতালেও তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।চিকিৎসার খরচ বহন করেছে রাজ্য সরকার। এদিন এই কথা বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁকে উস্তাদ রশিদ খান মা বলেও ডাকতেন।

গতকাল সোমবার থেকে মুখ্যমন্ত্রী গঙ্গাসাগরে ছিলেন। আজ মঙ্গলবার তাঁর জয়নগরে কর্মসূচি ছিল। সকালেই মুখ্যমন্ত্রী জানতে পারেন শিল্পীর শারীরিক অবস্থার অত্যন্ত অবনতি হয়েছে। তখন থেকেই তিনি দুশ্চিন্তায় ছিলেন। জয়নগর থেকে মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে ফিরে আসেন। কাজ করার সময়ই মন্ত্রী অরূপ রায়, ইন্দ্রনীল সেনরা এই দু:সংবাদ দেন। পুলিশ কমিশনারও এই দু:সংবাদ দেন। তারপরই কাজ ফেলে ছুটে হাসপাতালে পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রী।

অনেক ভয়েস মেসেজ মুখ্যমন্ত্রীর মোবাইল ফোনে এখনও আছে। উস্তাদ রশিদ খান বিভিন্ন সময় তাঁকে ভয়েস মেসেজ করতেন। শিল্পী দীর্ঘ দিন থেকেই ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করছিলেন। “দিদি তুমি কেমন আছ?” ” দিদি তুমি আমাদের বাড়িতে এসো।” এমন বহু ভয়েস মেসেজ জমা আছে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। গানের বন্দিশও পাঠাতেন তিনি।
উস্তাদ রশিদ খানের মৃত্যুতে মুখ্যমন্ত্রীর চেহারাতেও শোকের ছায়া। এমনভাবে তিনি যে চলে যেতে পারেন। ভাবতেই পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী। উস্তাদ রশিদ খানের পরিবারের পাশে তিনি আছেন। জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *