বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ২৪ ঘন্টার মধ্যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থার এমন আমূল পরিবর্তন কেউ আশা করে নি। কিন্তু সোমবার সকাল থেকে আভাস পাওয়া যাচ্ছিলো যে বাংলাদেশে ভয়ঙ্কর কিছু হতে চলেছে। সকাল গড়িয়ে দুপুর হতেই জানা গেলো শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়ে আগরতলা পৌঁছেছেন। আর প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের বিভিন্ন সীমান্তে তৈরী হয়েছে প্রবল উত্তেজনা। এই পরিস্থিতিতে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তগুলি। উত্তরে চ্যাংড়াবান্ধা, হিলি থেকে দক্ষিণের সন্দেশখালি, সর্বত্র এক ছবি। সীমান্তে হাইঅ্যালার্ট জারি করেছে বিএসএফ। পেট্রাপোল সীমান্তে তৎপর ভারতীয় সেনা। দুপুরের পর থেকে পেট্রাপোলে চাপানউতর শুরু হয়। যেহেতু একেবারে সামনে বেনাপোল, বাংলাদেশ সীমান্ত। হঠাৎ সেখানে বাজি ফাটতে থাকে, হইচই শুরু হয়। এদিকে সীমান্তে ভারত সরকার BSF ও সেনা বাহিনীর সংখ্যা অনেক বাড়িয়েছে।

এই দুই দেশের বাণিজ্য সম্পূর্ণ বন্ধ। নদীয়ায় চাপড়া সীমান্তেও কড়া নজরদারি। নিরাপত্তার বেষ্টনিতে মোড়া সীমান্ত। এলাকা একেবারে শুনশান। শুধুই টহলদারি চলছে। বিএসএফের টহল চলছে। দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি সীমান্তে কড়া পাহাড়ায় ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী। আজ রাতের মধ্যে সেনা বাহিনী আরো বাড়ানো হচ্ছে। সোমবার বিকালে সীমান্তে আসে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার পুলিশ সুপার চিন্ময় মিত্তল। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিকচন্দ্র মণ্ডল, ডিএসপি হেড কোয়ার্টার বিক্রম প্রসাদ-সহ পুলিশের অন্যান্য আধিকারিকরা। ফুলবাড়ি সীমান্তের ঠিক ওপারে বাংলাদেশের গেটে বিক্ষোভ। আগুন জ্বালানো হয়। ভারতের অংশে সীমান্তে নিরাপত্তারক্ষীরা কড়া নজরদারি চালাচ্ছে। বাংলাদেশে অশান্তির জেরে বাড়তি সতর্কতা মালদহের মহদিপুর আন্তঃর্জাতিক সীমান্তে। বিএসএফ এবং পুলিশের নজরদারি বেড়েছে সীমান্তে। চ্যাংড়াবান্ধা সীমান্ত অঞ্চলেও উত্তেজনার সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে বাড়ানো হয়েছে সেনা বাহিনী। টান টান উত্তেজনা ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *