বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:আমরা কর্পোরেশনের কাজে কোনও ইন্টারফেয়ার করি না। দরকার পড়লে তাদের সহায়তা করি। হাওড়া পুরসভা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে কার্যত জবাব তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ রায় (Arup Roy)। নবান্ন সভাঘরে আজ সোমবার হাওড়া পুরসভা কাজকর্ম নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

 


জঞ্জাল থেকে শুরু করে একাধিক ইস্যুকে সামনে রেখে বর্তমান পুরবোর্ড এবং সরকারি আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এমনকি অর্থের বিনিময়ে সরকারি জমিও বেহাত হয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন প্রশাসনিক প্রধান। আর এরপরেই সোমবার বিকেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মন্ত্রী অরূপ রায় (Mamata Banerjee-Arup Roy)।

তিনি (Mamata Banerjee-Arup Roy) বলেন, গত ৬ বছর ধরে হাওড়ায় পুর নির্বাচন হয়নি। এটা একটা সমস্যা আছে। পুরসভায় ইঞ্জিনিয়ারদের ট্রান্সফার পলিসি ঠিক করা দরকার। ইঞ্জিনিয়াররা হাওড়া কর্পোরেশনে বসেই কাজ করছেন বলে কার্যত অভিযোগ রাজ্যের মন্ত্রীর। শুধু তাই নয়, ট্রান্সফার হলে তাঁদের দায়িত্ব ডিউটি অনেক বেশি হবে। তুলনামূলক ভাবে অনেক বেশি তাঁদের কাজও করতে হবে বলে দাবি করেন।

এই প্রসঙ্গে অরূপ রায়ের দাবি, কাজ করার মানসিকতা নিয়ে মানুষকে পরিষেবা দিতে হবে। মানুষকে ঠিকমতো পরিষেবা না দিলে এখনকার মতো অচলাবস্থার সৃষ্টি হবে। ৬ বছর ধরে নির্বাচন না হওয়ার কারণে এই সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে নির্বাচন হওয়া দরকার বলেও কার্যত পাল্টা তোপ দলের বিধায়কেরও। তবে দল যাতে স্বচ্ছ ভাবমূর্তি সম্পন্ন ভালো প্রার্থীদের দিকে নজর দেয় সেই কথা বলেন। ৫০টা ওয়ার্ডের কাজ এক দু’জনকে দিয়ে করা সম্ভব নয় বলেও কার্যত চ্যালেঞ্জ অরূপ রায়ের।

তবে রথীন ইস্যুতেই মুখ্যমন্ত্রীর সুরে সুর মেলান রাজ্যের মন্ত্রী। তাঁর দাবি, আগের মেয়র (ডা: রথীন চক্রবর্তী ) হাওড়ার সংস্কৃতিকে শেষ করে দিয়েছেন। বেআইনি বিল্ডিং ভেঙে দেওয়ার পর আবার সেটাকে তৈরি করা হচ্ছে। পুলিশকে সহায়তা করতে হবে। পুলিশের কাছে যখনই সাহায্য চাইবে তখনই তাকে সহায়তা করতে হবে। এর জন্য পুলিশ টাকা চাইতে পারবে না। বেআইনি বিল্ডিং করলে পুলিশ যাতে গ্রেফতার করে সেই হুঁশিয়ারিও এদিন দেন অরূপ রায়।

এই বিষয়ে প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তথা বর্তমান বিজেপি নেতা রথীন চক্রবর্তী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীও জানান একটা সময় হাওড়ার যা উন্নতি হয়েছে তখনই হয়েছে। এখন কী হাল সবাই জানে বলে তোপ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *