বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার অশোকনগর ও বারুইপুরে দুই সভা এবং কলকাতায় রোড শোয়ের পর বুধবার কাকদ্বীপে সভা করলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সভা থেকে তিনি চড়া সুরে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, তৃণমূল সবকিছুতেই বলে এটা হতে দেবো না।
মথুরাপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত কাকদ্বীপে এদিন প্রধানমন্ত্রীর সভায় এলাকার বিজেপি প্রার্থী ছাড়াও ছিলেন জয়নগর ও ডায়মন্ডহারবারের দলের প্রার্থীরা। তিনি বলেন, গত ১০ বছরে মানুষ উন্নয়ন দেখেছে আবার ৬০ বছরের বঞ্চনাও দেখেছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন অন্যবারের থেকে আলাদা। তিনি বলেন, এই নির্বাচনের নেতৃত্ব দিচ্ছে জনতা। দুনিয়ায় ভারতে ডঙ্কা বাজছে, পতাকা উড়ছে। তিনি বলেন, এটা মোদী জন্য হয়নি, হয়েছে সাধারণ মানুষের ভোটে। সাধারণ মানুষের এক-একটি ভোট মোদী ও তাঁর সরকারকে মজবুত করেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এখন বিশ্বের পঞ্চম বড় অর্থনীতি হল ভারতের। যা তিনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
তিনি এদিনের সভায় রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রকে আক্রমণ করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন , পরিবারতন্ত্রের রাজনীতি কোটি কোটি মানুষের স্বপ্নকে কেড়ে নিয়েছে। তৃণমূল বাংলার মানুষকে পিছনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রধানমন্ত্রী। তৃণমূলের সঙ্গে এদিন প্রধানমন্ত্রী ইন্ডিয়া ব্লককেও আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, এবার বাংলা থেকে বিজেপির বেশি সাংসদ চাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত ১০ বছরে কেন্দ্রীয় সরকার বারো কোটি মানুষের বাড়িতে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিয়েছে। চার কোটি মানুষকে পাকা বাড়ি দিয়েছে। তিনি বলেন, বিকশিত ভারতের জন্য বিকশিত বাংলার প্রয়োজন। কিন্তু বাংলায় কোনও কেন্দ্রীয় প্রকল্প চালু করতে গেলেই তৃণমূল বলে এটা হতে দেব না। মহিলাদের সুরক্ষায় হেল্পলাইন চালু করা হলে, তৃণমূল বলে এটা হতে দেব না। গরিব মানুষের চিকিৎসায় আয়ুষ্মাণ ভারত চালু করা হলে তৃণমূল বলে এটা হতে দেব না।
প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেন বাংলায় সর্বত্রই কাটমানি। কেন্দ্রীয় প্রকল্পের জন্য যে টাকা পাঠানো হয়, তা সুবিধাভোগীদের পৌঁছে দিতে তৃণমূলের নেতারা কাটমানি নেন। আবাস যোজনা থেকে মিড ডে মিল সর্বত্রই কাটমানি। এই অভিযোগ করেছেন, এই তৃণমূলই রামমন্দিরকে অপবিত্র বলে।
এদিনও প্রধানমন্ত্রীর মুখে উঠে এসেছে রাজ্যে ওবিসি সংরক্ষণ নিয়ে হাইকোর্টের রায় এবং সিএএ প্রসঙ্গ। তিনি বলেন, আসল ওবিসি প্রাপকদের বঞ্চিত করে তৃণমূল ভোট রাজনাতির স্বার্থে মুসলিমদের সেই সুবিধা পাইয়ে দিয়েছে। সিএএ নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়ার নয়, দেওয়ার, বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলার পরিচয়কে ধ্বংস করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এই তৃণমূলকে কি সাজা দেবেন, প্রত্যেক বুথে কি এদের সাফাই করবেন, প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। জনগণের একটি ভোটই রাজনৈতিক দিশা বদল করে বলেও জানান তিনি। সভার একেবারে শেষের দিকে প্রধানমন্ত্রী গুরুদেব রবীন্দ্রনাথস ঠাকুরের ও আমার দেশের মাটি, তোমার পায়ে ঠেকাই মাথা, গানটি কিছু অংশ বলেন।