বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:সপ্তম দফার নির্বাচনের আগে সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের। এদিন সর্বোচ্চ আদালত কেজরিওয়ালের অন্তর্বর্তী জামিন সাত দিন বাড়ানোর আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। অর্থাৎ আগামী দুই জুন কেজরিওয়ালকে তিহার জেলে ফেরত যেতে হচ্ছে। প্রসঙ্গত, এর আগে সুপ্রিম কোর্ট কেজরিওয়ালকে পয়লা জুন পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিনের নির্দেশ দেয়।
কেজরিওয়াল গত ১০ মে বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি দীপঙ্কর দত্তের কাছ থেকে অন্তর্বর্তী জামিন পান। সেখানেই তাঁকে ২ জুন তিহার জেলে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়। ওই বেঞ্চ গত ১৭ মে পিএমএলএ মামলায় ইডির দ্বারা তাঁর গ্রেফতারের বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ করা নিয়ে রায় সংরক্ষিত করেছিল।
সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, যেহেতু গ্রেফতারকে চ্যালেঞ্জ করে করা আবেদনের রায় ইতিমধ্যেই সংরক্ষিত আছে, তাই অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য কেজরিওয়ালের আবদনের সঙ্গে মূল আবেদনের কোনও সম্পর্ক নেই। যেহেতু সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে নিয়মিত জামিনের জন্য ট্রায়াল কোর্টে যেতে বলেছে, তাই এই আবেদন গ্রহণযোগ্য নয়।
এর আগে মঙ্গলবার দিল্লির আবগারি নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের চিকিৎসার জন্য অন্তর্বর্তী জামিনের মেয়াদ সাতদিন বৃদ্ধি করতে জরুরি শুনানি করতে চায়নি সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি জেকে মাহেশ্বরী এবং কেভি বিশ্বনাথনের নেতৃত্বে গঠিত অবসরকালীন বেঢঞ্চ বলেছে, কেজরিওয়ালের আবেদন তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেবেন দেশের প্রধান বিচারপতি।
অন্যদিকে কেজরিওয়ালের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি বলেন, এই আবেদন শুধুমাত্র চিকিৎসার জন্য, স্বাধীনতা অপব্যবহারের জন্য নয়। তিনি জানান, রক্তে শর্করা ও কেটোনের মাত্রা বেশি থাকায় তাঁকে পেট-সিটি স্ক্যান করার কথা বলেছেন চিকিৎসক। যা না করলে শারীরিক জটিলতা তৈরি হতে পারে এবং কিডনির ক্ষতি হতে পারে।
এই মাসের শুরুতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে অন্তর্বর্তী জামিন পাওয়ার পরেই কেজরিওয়াল পঞ্জাবে আপের তরফে প্রচারে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন। তিনি বলেন, ৪৫ ডিগ্রি তাপমাত্রার মধ্যেও পাঠানকোট ও জিরাকপুরের রোড শোতে যে বিপুল জনসমাগম হয়েছে, তাতেই বোঝা যাচ্ছে পঞ্জাবের মানুষ বিজেপিকে জবাব দিতে তৈরি।
ইডি গত ২১ মার্চ দিল্লি আবগারি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেফতার করে। ইডির অভিযোগ, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী এই মুহূর্তে বাতিল করা আবগারি নীতির খসড়া তৈরিতে মদের লাইসেন্সের বিনিময়ে ঘুষের বন্দোবস্ত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। যদিও আপ এবং কেজরিওয়াল ইডির তোলা সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে।