বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের তিনদিন আগে রক্ত ঝরল নন্দীগ্রামে (Nandigram)! পিটিয়ে কোপ মেরে খুন বিজেপি নেত্রী। মৃত ওই মহিলার নাম রথীবালা আড়ি। ঘটনায় গুরুতর আহত আরও ৭ জন। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কলকাতায় নিয়ে আসা হয়েছে মৃতের ছেলেকেও। তাঁর উপরেও হামলার অভিযোগ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা।
ঘটনার প্রতিবাদে নন্দীগ্রাম (Nandigram) জুড়ে বনধের চেহারা। থমথমে এলাকা। সমস্ত বড় রাস্তা চেয়ার-গুড়ি ফেলে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বন্ধ দোকানপাট। অন্যদিকে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। নামানো হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে।
ঘিরে রাখা হয়েছে গোটা এলাকা। পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে নির্বাচন কমিশন। বিকেলেই ঘটনাস্থলে যাচ্ছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আগামী শনিবার রাজ্যের ষষ্ঠ দফায় নির্বাচন। ভোট হবে বাঁকুড়া, তমলুক, কাঁথি, ঘাটাল, ঝাড়গ্রাম, মেদিনীপুর, পুরুলিয়া এবং লোকসভা কেন্দ্রে।
আর তার আগেই ক্রমশ চড়ছে উত্তেজনার পারদ। দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়াচ্ছে অধিকারি গড় তমলুক, কাঁথি লোকসভা কেন্দ্রে। হুঁশিয়ারি এবং পালটা হুঁশিয়ারির অভিযোগ। আর এর মধ্যেই বিজেপি নেত্রীকে নৃশংস ভাবে খুন। যা নিয়ে একেবারে উত্তপ্ত পরিস্থিতি।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্বাচনের মুখে রাতে বুথ পাহাড়া দিচ্ছিলেন বিজেপি নেতা-কর্মীরা। আর সেই সময় ৫০ থেকে ৬০ জন তৃণমূল আশ্রিত দুস্কৃতিরা হানা দেয় বলে অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিজেপি কর্মীদের উপর বাঁশ লাঠি হাতে চড়াও হয় তাঁরা। মধ্যরাতে বিজেপি-তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। দুই পক্ষ বাঁশ লাঠি সহ অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায়। সেই সময় ছেলেকে বাঁচাতে এলাকায় ছুটে যান রথীবালা আড়ি।
অভিযোগ তাঁর উপরেও হামলা হয়। মাথায় বাঁশ দিয়ে মারা হয়। ঘটনাস্থলে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে যান তিনি। তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরেই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিজেপির অভিযোগ, ঘটনার জন্য দায়ী তৃণমূল। বুধবার নন্দীগ্রামে এসে প্রোরচনামূলক মন্তব্য করে।
দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এরপরেই এই ঘটনা। পুলিশের বিরুদ্ধেও নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের। যদিও ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও দায়ী নয় বলে দাবি স্থানীয় নেতৃত্বের। ঘটনার বিজেপি আদি এবং নব্যদের মধ্যে লড়াই বলে দাবি। ঘটনার পূর্ণাং তদন্তের দাবি জানিয়েছে শাসকদল তৃণমূল।