পুলিশ স্পষ্ট স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছে যে বিতর্কিত ওই জমি রামকৃষ্ণ মিশনের। ওটা মোটেই কোনো প্রদীপ রায়ের নয়। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে পুলিশ কর্তা জানান, যে জমি নিয়ে এত বিতর্ক, যে জমি দখল করার অভিযোগ উঠছে মিশনের বিরুদ্ধে, যে জমির মালিক হিসাবে দাবি করছেন প্রদীপ রায়, তা সবই মিথ্যা। পুলিশ কর্তা স্পষ্ট জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, জমির মালিকানা রামকৃষ্ণ মিশনেরই।
পুলিশ কর্তা জানান, ১৯ মে মাঝ রাত, তিনটে সাড়ে তিনটে নাগাদ প্রদীপ রায় নামে জনৈক ওই ব্যক্তি-সহ আরও ১০-১২ জন মিশনের ঘরে ঢোকে। রামকৃষ্ণ মিশনের কয়েকজন কর্মী সেখানে ছিলেন। তাঁদেরকে ভয় দেখানো হয়, মারধর করে, মোবাইল কেড়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু পুলিশ তদন্ত করে দেখেছে যে ওই জমির মালিক রামকৃষ্ণ মিশন।
পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদেরও দ্রুত শনাক্ত করে গ্রেফতার করা হবে বলে পুলিশকর্তা জানিয়েছেন। পুলিশ কর্তা জামিয়েছেন, মূল অভিযুক্ত প্রদীপ রায় একটি কেস করেছেন। সিভিল কেস। তিনি দাবি করেছেন, রামকৃষ্ণ মিশনের ওই জমিটার মালিক তিনি। উত্তরাধিকার সূত্রে তিনি টুকা সিং নামে এক জনের কাছ থেকে পেয়েছিলেন। টুকা সিংয়ের কোনও ছেলেমেয়ে নেই। ওঁর বাড়িতে থাকতেন বিদ্যেশ্বরী রায়। তাঁরই ছেলে প্রদীপ রায়। কিন্তু কাগজপত্র বলছে ওই জমির মালিম রামকৃষ্ণ মিশন। কাগজ বলছে টুকা সিং অনেক আগেই জমি বিক্রি করে দিয়েছিলেন হরদুয়াল সিং গিল বলে এক ভদ্রলোকের কাছে। তিনি আবার এই জমি বিক্রি করেছিলেন এস কে রায় নামে আরেক ব্যক্তির কাছে। এস কে রায় গিফট ডিড করেছিলেন রামকৃষ্ণ মিশনকে। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, এই জমির বর্তমান মালিকানা রামকৃষ্ণ মিশনের। কিন্তু পুলিশ প্রদীপ রায় নয়, রামকৃষ্ণ মিশন সম্পর্কে জামিন অযোগ্য ধারায় কেস দিয়েছে। প্রশ্ন এখানেই যে এখানেও কি কোনো টাকার খেলা চলেছে?