বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:লোকসভা নির্বাচনের মধ্যেও বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্য, পুলিশ – প্রশাসন। বিজেপি মহিলা নেত্রী পিয়ালী দাস ওরফে মাম্পিকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত এই নির্দেশ দিলেন। ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
সন্দেশখালি কান্ড নাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকারকে। স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। অতি সম্প্রতি সন্দেশখালিতে পুলিশ ধরপাকড় শুরু করে। বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী রেখা পাত্র আন্দোলনে অন্যতম মুখ। তার সহযোগী সন্দেশখালির বাসিন্দা পিয়ালী দাস ওরফে মাম্পি।
পুলিশ তার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দেয়। জামিন নিতে বসিরহাট আদালতে গিয়েছিলেন মাম্পি। কিন্তু আদালতের নির্দেশে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ১২ দিনের জন্য জেল হেফাজতে মাম্পিকে পাঠানো হয়। পুলিশ প্রথম জামিন যোগ্য ধারায় মামলা করেছিল। পরে সেগুলি বদলে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দেওয়া হয়।
পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল মাম্পির আইনজীবী। অবিলম্বে মাম্পি দাসকে জামিন দিতে হবে। এই দাবি তোলা হয়। গতকাল বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়েছিল। পুলিশ প্রশাসন নতুন করে কোনও মামলা দিতে পারবে না। শনিবার পর্যন্ত পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেবে না। বিচারপতি অমৃতা সিনহা এই নির্দেশ দিয়েছিলেন।
গতকাল পিয়ালী দাস সাময়িক স্বস্তি পেয়েছিলেন। বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে ফের এই মামলা ওঠে। সেখানে সম্পূর্ণ স্বস্তি পেলেন। এ কথাই দাবি করছেন বিজেপি নেতাদের একটা অংশ। সন্দেশখালির পিয়ালী দাসকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। এদিন এই নির্দেশ জানিয়ে দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত।
ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। পিয়ালির বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআরের একমাত্র জামিন অযোগ্য ধারার প্রয়োগের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হল। বাকি ধারার ক্ষেত্রে তদন্ত চলবে।
জেলা পুলিশ সুপারের নজরদারিতে সেই তদন্ত চলবে। আদালতের অনুমতি ছাড়া চূড়ান্ত রিপোর্ট পেশ করবে না পুলিশ। শুক্রবার এই নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। আগামী ১৯ জুন পরবর্তী শুনানি।