বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি! বিশেষ করে লোকসভা নির্বাচনের মুখে প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। যা আরও শাসকদলের উপর চাপ বাড়িয়েছে। আর এর মধ্যেই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে কার্যত বোমা ফাটালেন তৃণমূলের ‘অপসারিত’ রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
বেসরকারি এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর নাম করে যে টাকা তোলা হচ্ছে। আগে থেকেই সে খবর দলের কাছে ছিল। এমনকি চাকরি যে বিক্রি (Recruitment Scam) হয়েছে তা ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের আগে দল জানত বলেও বিস্ফোরক কুণাল ঘোষ।
আর এহেন মন্তব্য (Recruitment Scam) ঘিরে নতুন করে উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি। কেন তা এতদিন সামনে এতদিন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা। প্রাক্তন তৃণমূল নেতা তথা উত্তর কলকাতার বিজেপি প্রার্থী তাপস রায়ের সঙ্গে এদিন একমঞ্চে দেখা যায় কুণাল ঘোষকে। এমনকি বিজেপি নেতার প্রশংসাও ঝরে পড়ে তাঁর মুখে।
এমনকি যোগ্য প্রার্থী বলেও মন্তব্য করেন। আর এহেন মন্তব্যের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিল তৃণমূল। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। এমনকি মুখপাত্রের পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানালেন ডেরেক ও ব্রায়েন।
আর এরপরেই একের পর এক ইস্যুতে বোমা ফাটান কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। বেসরকারি এক টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তৃণমুল নেতা দুর্নীতি প্রসসঙ্গে আরও বলেন, শিক্ষায় যে দুর্নীতি হয়েছে তা শীর্ষ নেতৃত্ব টের পেয়েছিল। আর সেই কারনেই শিক্ষামন্ত্রীর পদে আর পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বসানো হয়নি। এই বিষয়ে তিনি ক্ষোভও প্রকাশ করেছিলেন। তবে এই কেলেঙ্কারিতে তিনি একা নয়, একাধিক নেতা চাকরি বিক্রির সঙ্গে যুক্ত। বহাল তবিয়তে এখনও তাঁরা দলের মধ্যে রয়েছে বলে দাবি কুণাল ঘোষের।
এমনকি চাকরি বিক্রিতে (Recruitment Scam) আরও এক মন্ত্রীর দিকে আঙুল তুলেছেন। তৃণমুল নেতার কথায়, যিনি চাকরি বিক্রিতে যুক্ত তিনি এখনও রাজ্যের মন্ত্রী। বহাল তবিয়তে আছে বলেও বিস্ফোরক। একই সঙ্গে এসএসসির সদিচ্ছা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কুণাল। বলেন, এই বিষয়ে স্কুল সার্ভিস কমিশনের স্বদিচ্ছা থাকলে সমস্যা সমাধান করা যেত বলে দাবি অভিষেক ঘনিষ্ঠ এই নেতার। মন্তব্য ঘিরে তোলপাড়।