বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:এবার কি আরও বিপাকে পড়বেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু? অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে সুজয়কৃষ্ণকে কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের জন্য পেয়েছিল ইডি। সেই কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষার জন্য সেটি পাঠানো হয়েছিল৷
সেই নমুনার রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে। কী আছে সেই রিপোর্টে? আগামী কাল প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন৷ উত্তরবঙ্গের তিন কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে। আর তার আগে এই রিপোর্ট এসে পৌঁছাল। রাজনৈতিকভাবে এই রিপোর্টের গুরুত্ব কতটা? কী আছে নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে?
চলতি বছরের শুরুতেই এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে রাতে বার করা হয়েছিল সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। ইডির আধিকারিকরা তাকে নিয়ে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেই রাতেই তার কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশে এই কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ হয়৷
একাধিক বার সেই নমুনা ওই রাতে সংগ্রহ করা হয়েছিল। সেই নমুনা ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। আজ বৃহস্পতিবার সেই রিপোর্ট এসে পৌঁছাল। জানা গিয়েছে, কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা মিলে গিয়েছে৷
তদন্তকারীরা শুরুর থেকেই কাকুর কণ্ঠস্বরের কথা বলছিলেন। কাকুর মোবাইল ফোনে বেশ কিছু ভয়েস মেসেজ পাওয়া গিয়েছিল। সেখানে কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল৷ সেই কণ্ঠস্বর কি কাকুর? সেই প্রশ্ন উঠেছিল৷ সেজন্য সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা পরীক্ষার জন্য বার বার দাবি করছিলেন তদন্তকারীরা।
কিন্তু দীর্ঘ দিন ধরে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন কাকু। তদন্তকারীরা তার কাছে পৌঁছাতে পর্যন্ত পারছিলেন না। কণ্ঠস্বরের নমুনা মিলে গিয়েছে। এই তথ্য সামনে আসার পরেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা।
কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা মিলে যাবে। এই কথা জানাই ছিল। দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্যসভার সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য। কার সঙ্গে কথোপকথন, ইডির এই তদন্ত? এই ভয়েস স্যাম্পেল মিললে কে নোটিশ পাবে? কাকে ডেকে আনা হবে? সেটাই দেখার অপেক্ষা রয়েছে। এমনই জানিয়েছেন বিজেপি নেতা।