বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক পিছিয়ে থাকা মানুষের কাছে জনসংযোগে জোর দিচ্ছে তৃণমূল। রাজ্যের তফশিলি জাতি ও উপজাতি জনতার ভোটব্যাঙ্ক গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্যের পশ্চিমের জঙ্গলমহল ও প্রান্তিক এলাকায় এই পিছিয়ে থাকা জাতির ভোট রয়েছে। আর সেই ভোটকে নিজেদের বাক্সে আনতে আরও নিবিড় সম্পর্কের পথে তৃণমূল।
বিশেষ জনসংযোগ কর্মসূচি গ্রহণ করল তৃণমূল। নাম দেওয়া হয়েছে, তপশিলি সংলাপ। আগামী কাল শুক্রবার প্রথম দফার নির্বাচন। গোটা মে মাস ধরেই চলবে এই লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024)।
জনসংযোগের মাত্রাও অনেক গুণ বাড়বে। এমনই বার্তা রাজ্যের শাসক দলের।
বিজেপি জমানায় সারা দেশে তফশিলি জাতি ও উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ ‘নির্যাতিত’। এছাড়াও বিজেপি বাংলায় তফশিলি জাতি ও উপজাতির মানুষকে ভুল বুঝিয়ে চলেছে। সেই বার্তা তৃণমূল প্রচার করছে। ২০১৯ সালে পশ্চিমের জঙ্গলমহলের চারটি লোকসভা আসনে (Lok Sabha Election 2024) বিজেপি জয়ী হয়েছিল। কিন্তু এই লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে গত পাঁচ বছরে বিজেপি কোনও উন্নয়নের কাজ করেনি বলে অভিযোগ।
এছাড়াও উত্তরবঙ্গের আসনগুলিতেও জয়ী হয়েছিল গেরুয়া শিবির৷ সেখানে আবার রাজবংশী, আদিবাসী ভোট রয়েছে। সেই সব মানুষকেও বিজেপি ভুল বোঝাচ্ছে। এমন দাবি তৃণমূলের থেকে করা হচ্ছে।
বিজেপি ভোটের জন্য কেবল বার্তা দেয়৷ গত পাঁচ বছরে পিছিয়ে পড়া এই জাতির কোনও উন্নতি হয়নি৷ এলাকার জন্যও বিজেপি উন্নয়নমুখী কাজ করে না৷ এই বার্তা তৃণমূলের তরফে দেওয়া হচ্ছে। প্রচারের জন্য সুসজ্জিত ১৫০ টি গাড়ি ব্যবহার করা হচ্ছে।
রাজ্যের ২৯৪ টি বিধানসভা এলাকায় এই প্রচার চালানো হবে। তৃণমূলের এসসি-এসটি সেলের ৩৫০০ নেতা-কর্মী এই বিশেষ প্রচার ও জনসংযোগ অভিযানে অংশ নিচ্ছেন।
কিন্তু কেন এমন কোমড় বেঁধে মাঠে নেমে পড়েছে তৃণমূল? সমাজের পিছিয়ে পড়া জাতিদের নিয়ে কেন ভাবছে তারা? রাজনৈতিক মহলের এক অংশের মত, বিজেপির থেকে এই ভোটব্যাঙ্ক নিজেদের দিকে আনা। বাংলায় এই অংশের ভোটারও নেহাত কম নেই। তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেতৃত্বের লক্ষ্য, প্রায় দেড় কোটি মানুষের কাছে যাওয়া।
তফসিলি জাতি ও উপজাতি প্রভাবিত এলাকায় গিয়ে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা প্রচার করছেন। পুস্তিকা দেওয়া হচ্ছে। সেই সব এলাকায় আলোচনা সভার আয়োজন করা হচ্ছে। গত ১৫ মার্চ থেকে এই প্রচার অভিযান শুরু করেছে তৃণমূল।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই অংশের মানুষের জন্য কী কী প্রকল্প নিয়েছেন? সেই সব প্রচার করার নির্দেশ দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিজেপি আদিবাসী জনজাতিদের নিয়ে কী ভাবে? সেই বার্তাও পাশাপাশি দিচ্ছে তৃণমূল। এই ভোটব্যাঙ্ক ২০১৯ সালে তৃণমূলের থেকে সুইং করে বিজেপিতে চলে যায়৷ বাংলায় পদ্মফুল ফোটে প্রান্তিক এলাকাতেও৷ পাঁচ বছর পর কি সেই ভোটব্যাঙ্ক ফিরিয়ে আনতে পারবে তৃণমূল? জোড়া ফুল কি পদ্মের জায়গায় দেখা যাবে?