বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ৪৮ ঘণ্টা পরেই প্রথম দফার লোকসভা ভোট। দেশজুড়ে ১০২টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। দেশে গ্রীষ্মের উত্তাপ যত বাড়ছে তার থেকেও বেশি উর্ধ্বমুখি ভোটের পারদ। সব দলের হেভিওয়েট নেতা-নেত্রীরাই প্রচার শুরু করে দিয়েছেন জোর কদমে। রাজ্য রাজনীতির সীমা ছাড়িয়ে এবার লোকসভা ভোটে মমতার চোখ পূর্ব ভারতেও।
অসমে চার কেন্দ্রে প্রার্থী দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার অসমে প্রচারে গিয়ে এনআরসি ইস্যুতে যেমন বিজেপিকে আক্রমণ করলেন তেমনই বড় ইঙ্গিতও দিলেন। লোকসভা ভোটে চার কেন্দ্রে লড়াই করলেও অসমে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে সব আসনে প্রার্থী দেওয়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
বুধবার অসমের শিলচরে প্রচারে মমতা বলেন, ”আমরা কখনও বাঙালি খেদাও আন্দোলন, কখনও অন্যভাষী খেদাও আন্দোলন করি না। আমাদের কাছে সবাই সমান।তৃণমূল এ বার অসমে চারটি আসনে লড়ছে। এটা তো সবে ট্রায়াল দেখছেন। লোকসভা ভোটে আমরা ট্রায়াল দিতে এসেছি। ফাইনাল খেলা এখনও বাকি। আমি আবার আসব।’ অর্থ্যাত তাঁর বক্তব্য থেকে স্পষ্ট বাঙালি অধ্যুষিত এই রাজ্যে মাটি শক্ত করার কাজ চালিয়ে যাবেন তিনি।
অসমের চার কেন্দ্রে এবার প্রার্থী দিয়েছে বঙ্গের শাসক দল। শিলচর কেন্দ্রে তৃণমূলের টিকিটে এ বার ভোটে লড়াই করছেন রাধেশ্যাম বিশ্বাস। পাশাপাশি বরপেটায় আবুল কালাম আজাদ, লখিমপুরে ঘনকান্ত চুতিয়া এবং কোকড়াঝাড়ে গৌরীশঙ্কর শরণিয়াকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল।
এনআরসি ইস্যুতে যেমন বিজেপিকে আক্রমণ করলেন “যদি আমরা জিতে যাই, আমরা রাজ্যে এনআরসি এবং সিএএ কার্যকর করব না… কত লোককে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা হবে? এই নির্বাচন ভয়ানক হতে চলেছে। এমন কালো এবং দুর্নীতিগ্রস্ত নির্বাচন আগে কখনো দেখিনি। দাঙ্গা তাদের (মোদী সরকার) একমাত্র গ্যারান্টি আমি বিশ্বাস করি না যে এই সরকার ‘জুমলেবাজ’ সরকার।
একইসঙ্গে মমতা বলেন, ‘এজেন্সি দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। কী বলছে? এইবার ৪০০ পার। আমি বলছি, প্রথমে তো ২০০ পার করে দেখাও। আগেরবার তিনশো হয়েছিল। এবার তো আরও হারবে। গো হারান হারবে বলে গেলাম। আগে দুশো পার করুন তারপর সাঁতার কাটবেন। তবে মানুষকে মিথ্যা বলে চমকাবেন না।’
ভোট প্রচারে মমতা বলেন, অসমে বাঙালি হিন্দু আর মুসলিম ভোট ৭০ শতাংশ। আর অসমিয়া ভোট ৩০ শতাংশ। সবাই মিলে লড়াইয়ের জন্য তৈরি হতে হবে। রাধেশ্যামবাবুকে আপনারা জেতান।’