বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: রাজ্য জুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে, লাল মাটির জেলা বাঁকুড়া সবাইকে পিছনে ফেলে এক্ষেত্রে একদম এগিয়ে। ইতিমধ্যে এই জেলায় তাপমাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে ৪০ ডিগ্রির তাপমাত্রা। প্রবল গরমমাথায় নিয়েই স্কুলে যাচ্ছেন পড়ুয়ারা। যা চিন্তা বাড়াচ্ছে চিকিৎসক থেকে প্রশাসনের আধিকারিকদের।
শোনা যাচ্ছে, সম্ভবত গরমের ছুটি এগিয়ে আনতে পারে নবান্ন। কিন্তু এখন তো স্কুলে যেতে হচ্ছে ছোট্ট পড়ুয়াদের। আর তাই তাঁদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে ‘ওয়াটার বেল’ (Water-Bell) পদ্ধতি চালু করল বাঁকুড়া গার্লস প্রাইমারী স্কুল। রাজ্যের স্কুলগুলির মধ্যে একেবারে নজিরবিহীন পদক্ষেপ বাংলার এই স্কুলের। যা একেবারে অবাক করেছে সবাইকে।
এর উত্তরে স্কুল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, বর্তমান সময়ে তীব্র গরমে ঘামের মধ্য দিয়ে শরীর থেকে অতিরিক্ত জল বেরিয়ে গেলেও শরীরে যাতে জলের ভারসাম্য বজায় থাকে, সেই কথা মাথায় রেখে ছাত্রীদের নিয়মিত জল খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সকাল ৭ টা ৪৫ ও ৯ টা ১০ মিনিটে বেল বাজার সঙ্গে সঙ্গে সমস্ত ছাত্রীরা নিজেদের সঙ্গে থাকা জলের বোতল থেকে জল খাবে। আর এই কাজে তদারকি করবেন সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা।
এর আগে কেরালা, ওডিশা সহ এরাজ্যের একাধিক স্কুলে ‘ওয়াটার বেল’ (Water-Bell) পদ্ধতি চালু হলেও বাঁকুড়া জেলায় কোন সরকারী স্কুলে সম্ভবত এই ধরণের উদ্যোগ প্রথম বলেই খবর। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া ‘জলপান বিরতি’তে খুশী সংশ্লিষ্ট ছাত্রীরাও। চিন্তা কমেছে অভিভাবকদেরও।
এই বিষয়ে বাঁকুড়া গার্লস প্রাইমারী স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা অনুভা মাহাতো বলেন, তাপমাত্রার পারদ ক্রমবর্দ্ধমান। ফলে অনেক শিশুরাই অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আর এই অসুস্থতার পিছনে অন্যতম মূল কারণ শরীরে জলসংকট। আর সেকারণেই স্কুল চলাকালীন নির্দিষ্ট সময়ে দু’বার ‘ওয়াটার বেল’ বাজবে। আর ওই সময়ে শিক্ষক শিক্ষিকাদের তদারকিতে ছাত্রীরা জলপান করবে বলে তিনি জানান।
অন্যদিকে অভিভাবকরা বলছেন, প্রবল গরমকে মাথায় নিয়েই ছেলে-মেয়েদের স্কুলে যেতে হচ্ছে। অসুস্থ হয়ে পড়ছে তাঁরা। সবসময় চিন্তা থাকছে। ঠিক মতো জল খাচ্ছে কিনা! স্কুলের এহেন সিদ্ধান্ত প্রসংশনীয় বলছেন অভিভাবকরা। এমনকি অন্যান্য স্কুলগুলিতেও যাতে ওয়াটার বেল (Water-Bell In School) চালু হয় সেই আবেদনও রেখেছেন।
বলে রাখা প্রয়োজন, আজবৃহস্পতিবার বাঁকুড়ায় তাপমাত্রা ৪২.১। একই সঙ্গে দেওয়া হয়েছে তাপপ্রবাহের সতর্কবার্তাও।