বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
রাজ্যের রেশন ধর্মঘট নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। রেশন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার অভিযোগ তিনি করেছেন। পাশাপাশি তিনি তৃণমূল ও বিজেপিকে একসঙ্গে আক্রমণ করেছেন। তিনি কটাক্ষ করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেছেন, শাসকদল দুর্নীতিতে আচ্ছন্ন। আজ তাদের দুর্নীতি ক্যান্সারে পরিণত হয়েছে। এর থেকে বাঁচার আর কোনও উপায় নেই। তিনি বলেছেন, তৃণমূলে বাঁচার দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। তৃণমূল দলের পতন দ্রুত গতিতে শুরু হয়েছে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।
তিনি বলেছেন, তৃণমূল দলের মধ্যে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথার কাউন্টার করা হচ্ছে। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় যেটা বলছেন, তা দলের মধ্যেই বিরোধিতা করা হচ্ছে। দলের তরফে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তুলে ধরা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, এই রাজ্যে কি আর কোনও মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না?
অধীর চৌধুরী বলেছেন, স্বাধীনতার পর থেকে লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্তুদের স্রোত সামলেছিলেন বিধান রায়। সেই সময় এই বাংলাকে শিল্প, রুটি রোজগার দিয়ে বাঁচিয়েছিলেন তিনি। বিধান রায়ের সময়ে কল্যাণী, সল্টলেক, দুর্গাপুর তৈরি করা হয়েছিল। তখন দেশে কোনও সরকারি ব্যাঙ্ক ছিল না।
আজকে আমাদের দিদি আম্বানির পায়ে পড়েও কোনও শিল্প আনতে পারছেন না। কিন্তু সেদিন বিধান রায় উদ্বাস্তু বাঙালিদেরকে বিভিন্ন জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। উন্নতি করার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন অথচ হাতে কিছু ছিল না। তিনি দিদির মতো নাটক করেননি। এমন নাট্যকার মুখ্যমন্ত্রী চাই না বলেও মন্তব্য করেন অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, আমরা চাই, মানুষের জন্য দরদ দিয়ে ভালবেসে সেবা করার মুখ্যমন্ত্রী।
তিনি বলেছেন, এখানে চামচাগিরির প্রতিযোগিতা চলছে। সিনিয়ারদের এক ধরনের বাতেলা এবং জুনিয়ারদের এক ধরনের বাতেলা। নবীন ও প্রবীণ আর গোটা তৃণমূল আজকে পচা সোয়াবিনে পরিণত হয়েছে। তৃণমূল দলে ভবিষ্যৎ বাংলার মানুষ দেখতে পাচ্ছেন, বলেছেন অধীর চৌধুরী।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এদিন কটাক্ষ করে বলেন, মোদী আছে তো সমস্ত কিছু আছে এবং দিদি আছে তো সমস্ত কিছু আছে। পশ্চিমবঙ্গ আজকে সমস্ত কিছু সম্ভব, চুরি করো, লুট করো, খাও তারপর আবার জ্ঞান শুনতে হয় সবাইকে।
তৃণমূলে নবীন প্রবীনের যে লড়াই, সেটার স্ক্রিপ্ট তৈরি হচ্ছে বিজেপি দপ্তর থেকে। খোকাবাবু ইডির দপ্তরে হাজিরা দিয়েছিল। নয় ঘন্টা হাজিরা দেওয়ার পর থেকেই পাল্টি খেয়ে গিয়েছেন খোকাবাবু। এই খোকাবাবু যদি বিজেপির প্রজেক্টেড মুখ্যমন্ত্রী হয় তাহলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।