বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক ::
২০২৩ সালে এশিয়ান গেমসে রেকর্ড সংখ্যক ১০৭টি পদক জিতেছে ভারত। ভারতীয় অ্যাথলিটরা এশিয়াডের মঞ্চে নতুন রেকর্ডও সৃষ্টি করেছেন। এশিয়ান গেমসে ভারত রেকর্ড ১০৭টি পদক পেয়েছে। তার মধ্যে ৫৮টি ব্যক্তিগতভাবে পাওয়া। ৪৯টি পদক এসেছে দলগতভাবে। কিন্তু, জানেন কি, যে খেলোয়াড়রা দেশকে এশিয়ান গেমসে, গর্বিত করেছেন, তাঁদের বেশিরভাগের পারিবারিক অবস্থা কেমন?
২০০২ সালের এশিয়ান গেমসে ভারতের ৩৬% পদক মহিলারা জিতেছিলেন। ২০২৩ সালে সংখ্যাটা বেড়ে হয়েছে ৪৩%। একটি সর্বভারতীয় ইংরেজি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, ৬৫ শতাংশ পদকজয়ীর পরিবারের বার্ষিক আয় ৫ লক্ষ টাকার কম। পদকজয়ী ক্রীড়াবিদদের ৩৩ শতাংশ ভারতের গ্রামাঞ্চলে বড় হয়েছেন, তাঁরা খেলাধুলার উপযুক্ত পরিকাঠামো পাননি।
২৫৬ ক্রীড়াবিদের উপর অনুসন্ধান চালানোর পর এই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে। যে তথ্য গুলি উঠে এসেছে, তা কিন্তু চমকে দেওযার মতোই।
পদক বিজয়ীদের মধ্যে নারী-পুরুষের শতাংশের অনুপাত এবার ৪৩ঃ৫৭, যা খেলাধুলার সাফল্যের ক্ষেত্রে একটি লিঙ্গ ব্যবধান কমে আসার উদাহরণ। দুই দশক আগে, অনুপাত ছিল আনুমানিক ৩৬ঃ৬৪ এবং ২০১৮ সংস্করণে, এটি প্রায় ৪০ঃ৬০-এ দাঁড়িয়েছ, ২৫৬ জন অ্যাথলিটের মধ্যে ৬৮ জনের মতো অর্থ্যাত মাত্র এক চতুর্থাংশেরও বেশি – জনসংখ্যার দিক থেকে সেরা ২৫টি শহরের একটিতে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং বেড়ে উঠেছেন৷ পদকপ্রাপ্তদের এক তৃতীয়াংশ গ্রামীণ এলাকার বাসিন্দা।
পরিবারের প্রধান হিসাবে দৈনিক মজুরিতে কাজ করেন সেই বাড়িগুলি ভারতকে ৪০টি পদক দিয়েছে। এই তথ্য স্পষ্ট করে দিচ্ছে দরিদ্র পিতামাতারাও শিশুদের খেলাধুলার স্বপ্নকে সমর্থন করেন।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ২৪৪ জন ক্রীড়াবিদ বা তাদের পরিবার, বার্ষিক পারিবারিক আয় জানিয়েছেন, তাদের প্রায় ২০ শতাংশ, মোট ৫০ জন, এমন পরিবার থেকে এসেছেন যারা বছরে ৫০,০০০ টাকার কম আয় করেন।
বেশিরভাগ পদক(মোট ৬২), কৃষি আয়ের পরিবার থেকে এসেছে, মূলত গ্রামীন সমাজের প্রতিনিধি তাঁরা। মাত্র এক ডজনেরও বেশি পদকজয়ী সচ্ছল বা উচ্চবৃত্ত পরিবারের সদস্য এবং ৪৪টি পদক এসেছে তাঁদের কাছ থেকে যাদের পরিবারের নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে। এশিয়ান গেমসে পদক পাওয়া ৪৮ জন মহিলা ক্রীড়াবিদ ও ৫০ জন পুরুষ ক্রীড়াবিদ অ্যাকাডেমিক ট্রেনিং পেয়েছেন।
তবে বেশিরভাগ ক্রীড়াবিদ তাদের খেলাধুলা এবং শিক্ষা কেরিয়ারে ভারসাম্য বজায় রেখেছেন। ২০ বছর বা তার বেশি বয়সী ২৩২ জন ক্রীড়াবিদদের মধ্যে ১৩৫ জন কলেজ স্নাতক এবং ২১ জন তাদের স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছে। উল্লেখ যোগ্য তথ্য হল এই স্নাতক-অ্যাথলেটদের মধ্যে অন্তত ৫৫ জনের বাবা-মা দ্বাদশ শ্রেণির পরে পড়াশোনা করেননি।
তার পরও স্পোর্টিং ইকোসিস্টেমের কারণে তহবিল এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা এই সব ক্রীড়াবিদদের কাছে সময়মত এবং দক্ষতার সঙ্গে পৌঁছেছে।এবছর বরাদ্দ ছিল ৩৩৯৭ কোটি টাকা। শুধু এবছরই নয়, ২০১৪-১৫ থেকেই কেন্দ্রের খেলাধুলার জন্য বরাদ্দ প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। তহবিল বৃদ্ধি করা হয়েছে বাজেট অনুসারে এবং প্রয়োজন অনুসারে।