বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বেজে গিয়েছে লোকসভা ভোটের দামামা।আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই ঘোষণা হয়ে যাবে লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট। ভোটের সূচি ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই লাগু হয়ে যাবে আদর্শ আচরণ বিধি। মার্চ মাসের শুরু থেকেই প্রচার শুরু করে দিয়েছে সবদলই।
বিগত দুটি লোকসভা ভোটের মতোই এবারও পরিবারবাদ অন্যতম ইস্যু হতে চলেছে। কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্রকে নিশানা করে বিজেপি। পাল্টা মোদীর পরিবার নিয়েও বিরোধীরা মাঝে মধ্যেই কটাক্ষ ছুঁড়ে দেন।
লোকসভার লড়াই শুরুর আগেই পরিবারকেই হাতিয়ার করল বিজেপি।শনিবার বিজেপির পক্ষ থেকে ভোট প্রচারের জন্য গান প্রকাশ করা হয়েছে। গানের নাম দেওয়া হয়েছে, “মোদী কা পরিবার”। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজেও সেই ভিডিও শেয়ার করেছেন। এই গানের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে গোটা দেশই মোদীর পরিবার। অর্থাৎ দেশবাসীর সঙ্গে মোদীর নিবিড় সম্পর্ক বোঝাতেই এই গান প্রকাশ করা হয়েছে।
লোকসভা নির্বাচনের প্রচার আগে থেকেই শুরু করে দিয়েছে বিজেপি কংগ্রেস সহ সব রাজনৈতিক দলই। এবার ৪০০ আসনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ভোটের লড়াইয়ে নেমে বিজেপি।। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে বিজেপির সমস্ত নেতারাই প্রচার করছেন দেশজুড়ে। এবার প্রধানমন্ত্রী মোদীর নামে গানও প্রকাশ করা হল। গানের নাম “মোদী কা পরিবার”। মোদী সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প ও সাধারণ মানুষের প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপরে আস্থাকেই তুলে ধরা হয়েছে।
২০১৪ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর সঙ্গে ১৪০ কোটি নাগরিকের সম্পর্কে এক দশক পূর্ণ করতে চলেছে। এই উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে খোলা চিঠিও লিখেছেন মোদী। সেখানে প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেছেন, ‘আমার এই পরিবারের মানুষদের জীবনে সার্বিক উন্নয়ন আনতেই আমাদের নীতিগুলি প্রণয়ন করা হয়েছে।’
একইসঙ্গে মোদী বলেন, ‘আমাদের সরকারের প্রতিটি সিদ্ধান্ত গরিব, কৃষক, যুব সম্প্রদায় এবং মহিলাদের জীবনস্তরে পরিবর্তন আনার জন্য নেওয়া হয়েছে। আমাদের সরকার নিরন্তর সততার সঙ্গে উন্নয়নের প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। যার স্বার্থক পরিণাম আমাদের চোখের সামনে রয়েছে।’
এর আগেও দলীয় জনসভা থেকে পরিবার নিয়ে বিরোধীদের জবাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী৷গত ৬ মার্চ বারাসতের জনসভা থেকে মোদী বলেন, ‘ আমি অনেক কম বয়সে পরিবার ছেড়ে ঝোলা নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম৷ পরিব্রাজকের মতো দেশের কোণায় কোণায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলাম, কিছু খুঁজছিলাম৷ কিন্তু পকেটে এক টাকাও ছিল না৷ কিন্তু আপনারা জেনে গর্ব করবেন, কোনও না কোনও পরিবার, মা, বোনেরা আমাকে জিজ্ঞেস করতেন, কিছু খেয়েছো? কিন্তু একদিনও ক্ষুধার্ত থাকিনি৷ ১৪০ কোটির দেশবাসীই আমার পরিবার৷ আজকে আমি দেশবাসীর ঋণ মেটাচ্ছি৷’