বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানি বিতর্কে চরম অস্বস্তিতে বিজেপি! লাগাতার এই ইস্যুতে আন্দোলন চালাচ্ছেন শিখ সম্প্রদায়ের মানুষরা। ক্ষমা না চাইলে বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও’য়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেছেন শিখ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা।
আর এই বিতর্কের মধ্যে দু’মিনিটের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। যেখানে শুভেন্দু অধিকারীর বিভিন্ন বক্তব্যকে হাতিয়ার করা হয়েছে।
আর তা শেয়ার করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) লিখছেন, ভিডিওটি দেখুন। কীভাবে বাংলার মধ্যে বিজেপি বিষ ঢুকিয়ে দিচ্ছে তার সাক্ষী হোন। একাধিকবার আবেদনের পরেও কলকাতা হাইকোর্ট এই ব্যক্তিকে ( পড়ুন-শুভেন্দু অধিকারী) রক্ষাকবচ দিয়ে রেখেছে।
এমন কি রয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে রক্ষা কবচ দিতে বাধ্য হচ্ছে? তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তৃণমূল সেকেন্ড ইন কমান্ড। তাঁর কথায়, ঘৃণা এবং ধর্মান্ধতা ছড়ানো হচ্ছে। বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে অভিষেকের এই ভিডিও বার্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও এই বিষয়ে বিজেপির তরফে কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
বলে রাখা প্রয়োজন, গত কয়েকদিন আগে সন্দেশখালি যাওয়ার পথে পুলিশের বাঁধার মুখে পড়তে হয় শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি বিধায়কদের। আর সেই সমত কর্তব্যরত শিখ আইপিএস অফিসার যশপ্রীত সিংকে ‘খালিস্তানি’ বলে আক্রমণ করে বিজেপি নেতৃত্ব। যা নিয়ে রীতিমত ওই পুলিশ আধিকারিকের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন অগ্নিমিত্রা পাল এবং শুভেন্দু অধিকারীরা। যদিও খালিস্তানি মন্তব্য তিনি বা দলের কেউ করেননি বলে মন্তব্য করেন তিনি। যদিও এরপরেই রাজ্য পুলিশের তরফে একটি ভিডিও শেয়ার করা হয়।
যেখানে বিরোধী দলনেতাকে খালিস্তানি বলতে শোনা যাচ্ছে। এমনকি বিজেপিকে আক্রমণ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও শেয়ার করেন। যেখানে অগ্নিমিত্রা পালকেও ওই পুলিশ আধিকারিককে খালিস্তানি বলতে শোনা যাচ্ছে। আর সেই ভিডিও শেয়ার করে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ শানান রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। যদিও শেয়ার করা ভিডিও’র সত্যতা যাচাই করিনি আমরা।
তবে এই ঘটনাকে ঘিরে চরম অস্বস্তিতে বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। ঘটনায় ইতিমধ্যে হস্তক্ষেপ করেছে কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্বও। বিরোধী দলনেতাকে ফোন করেছেন কেন্দ্রীয় বিজেপি শিখ নেতারাও। বিষিয়টি নিয়ে তদন্তের দাবি তুলেছেন বাংলার বিজেপির সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়াও।