বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:নবদ্বীপ শহরটি হিন্দুধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান, বিশেষ করে বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের কাছে। শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান হিসেবে এটি পরিচিত এবং এখানে বৈষ্ণব ধর্মের প্রসার ঘটেছিল। নবদ্বীপে মন্দির ও তীর্থস্থানের আধিক্য রয়েছে এবং এটি একটি ঐতিহ্যবাহী শহর।
নবদ্বীপের ধর্মীয় গুরুত্ব:
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান:
নবদ্বীপ শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মস্থান, যিনি ১৫শ শতাব্দীর একজন প্রভাবশালী হিন্দু সাধু এবং ‘গৌর’ নামেও পরিচিত। তিনি ভক্তি আন্দোলনের একজন প্রধান ব্যক্তিত্ব ছিলেন এবং তাঁর জন্মস্থান হিসেবে নবদ্বীপ বৈষ্ণবদের কাছে পবিত্র স্থান।
বৈষ্ণব ধর্মের কেন্দ্র:
শ্রীচৈতন্যের প্রভাবে নবদ্বীপে বৈষ্ণব ধর্মের প্রসার ঘটে। এখানে বহু বৈষ্ণব মন্দির ও মঠ রয়েছে, যা এই ধর্মের অনুসারীদের জন্য তীর্থস্থান হিসেবে কাজ করে।
রাস উৎসব:
নবদ্বীপে রাস উৎসব বিশেষভাবে পালিত হয়, যা শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলার স্মরণে অনুষ্ঠিত হয়। রাস উৎসবে শাক্ত ও বৈষ্ণব ধর্মের মিলন দেখা যায়।
তীর্থস্থান:
নবদ্বীপে একাধিক মন্দির ও তীর্থস্থান রয়েছে, যেমন – দ্বাদশ শিব মন্দির, যা ১৮৩৫ সালে নির্মিত এবং চমৎকার ফুলের নকশার জন্য বিখ্যাত। এটি প্রচুর তীর্থযাত্রীকে আকর্ষণ করে।
অন্যান্য ধর্ম:
নবদ্বীপে হিন্দুধর্ম সংখ্যাগরিষ্ঠ হলেও, ইসলাম, খ্রিস্টান, জৈন, শিখ ও বৌদ্ধ ধর্মেরও অনুসারী রয়েছেন।
নবদ্বীপ ধাম:
নবদ্বীপকে “নবদ্বীপ ধাম” বা “শ্রীধাম নবদ্বীপ” হিসেবেও উল্লেখ করা হয়, যা এর ধর্মীয় গুরুত্বকে তুলে ধরে।
নবদ্বীপের ধর্মীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি একে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান করে তুলেছে।
