বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: একসময় বাংলার ঘরে ঘরে বাজত ‘বলি ও ননদী আর দুমুঠো চাল ফেলে দে হাঁড়িতে’ গান কিংবা ‘বড়লোকের বিটি লো’তে দুলে উঠত ঘরোয়া আড্ডা থেকে পাড়া প্যান্ডেল। এই দুই কালজয়ী লোকগান কার কণ্ঠস্বরে জানেন? বীরভূমের সিউড়ির সঙ্গীতশিল্পী স্বপ্না চক্রবর্তীর। বর্তমানে কেমন আছেন সঙ্গীতশিল্পী? আজ ৭৫ বছর বয়সে সঙ্গীতশিল্পী স্বপ্না চক্রবর্তী প্রায় বিস্মৃত, দর্শকদের হৃদয়ের স্মৃতি ছাড়া আর কোথাও নেই তাঁর সম্মান।
একান্ত সাক্ষাৎকারে শিল্পী জানালেন তাঁর অভিমানের কথা। সিউড়ি শহরের বড় অনুষ্ঠান ‘সিউড়ি উৎসব’-এ আমন্ত্রণ মেলে না। কেউ চিঠি পাঠায় না, কেউ এসে ডাকে না! দর্শকের হৃদয়ের ‘স্বপ্না’ হয়েও আজ উপেক্ষিত তিনি। স্বপ্না চক্রবর্তীর জন্ম ১৯৫০ সালের ১ সেপ্টেম্বর, বীরভূমের দেরপুর গ্রামে। বাবা নিত্যগোপাল চৌধুরী ও মা সরলাবালা দেবীর আদরের কন্যা। মাত্র ৭ বছর বয়স থেকে শুরু সঙ্গীতের পথচলা। পরবর্তীতে বিশ্বভারতীর সঙ্গীতভবনে ৫ বছর রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রশিক্ষণ নেন। তাঁর কণ্ঠে ছিল লোকগীতির দুর্লভ রস, তিনি হয়ে উঠেছিলেন বাংলার ঘরের মেয়ে, গানের পরম সাথী। শিল্পী জানালেন, ” আমি এখন আর গান গাই না, পারিও না। শরীর দেয় না, গলাও আর আগের মতো নেই। কিন্তু মানুষের ভালবাসা পেলে মনটা জেগে ওঠে।”
