বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:ভাঙ্গন কবলিত মানুষের পাশে বিধায়ক আমিরুল ইসলাম, দ্রুত কাজ শুরু করলো সেচ দপ্তর।
হঠাৎ করে গঙ্গা ভাঙ্গনে তলিয়ে গেল শিবপুর গ্রামের পাকা রাস্তার একটি অংশ। ফলে নতুন করে ভাঙ্গন আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের নতুন শিবপুর গ্রাম।
নতুন করে এলাকায় ভাঙ্গন হতেই আসবাবপত্র নিয়ে অন্যত্র পালাতে শুরু করেছেন সাধারণ মানুষ। শুক্রবার রাস্তা তলিয়ে যেতেই শনিবার থেকেই বাড়িঘরে থাকা যাবতীয় আসবাবপত্র নিয়ে অন্যত্র পালাচ্ছেন এলাকা বাসীরা। ভাঙ্গনে সব কিছু হারিয়ে কি করবেন কিছু বুঝে উঠতে পারছেন না তারা।
উল্লেখ করা যেতে পারে, ২০২৩ সালে সর্বশেষ গঙ্গা ভাঙ্গন হয়েছিল সামশেরগঞ্জের এই নতুন শিবপুর গ্রামে। তারপর থেকে অন্যত্র ভাঙ্গন হলেও এখানে ভাঙ্গন হয়নি বলে জানাযায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, গত শুক্রবার নতুন করে আবারও ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। হঠাৎ করে গঙ্গা ভাঙ্গনে তলিয়ে যায় শিবপুর গ্রামের পাকা রাস্তার একটি অংশ। ফলে নতুন করে ভাঙ্গন আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বর্ষার সময় গঙ্গার জলবৃদ্ধি হতেই ভাঙ্গন ঘিরে ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে এলাকা জুড়ে। বর্ষার মরশুমে গঙ্গা নদী ভাঙ্গন ক্রমশই দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে। রাতের ঘুম পড়ে গিয়েছে সাধারণ মানুষের। আর এবারে সামশেরগঞ্জের নতুন শিবপুরে গঙ্গা ভাঙনের তলিয়ে গেছে প্রায়১০০ মিটার পাকা ঢালায় রাস্তা তার সঙ্গে দশটি বাড়ি গঙ্গার গর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। আর সেই সমস্ত বাড়িগুলো ভাঙ্গতে শুরু করেছে গঙ্গা ভাঙ্গন বিধ্বস্ত এলাকার মানুষজন তারা তাদের আত্মীয়-স্বজনের বাড়িতে আশ্রয় নিচ্ছে।
গঙ্গা ভাঙ্গনে তলিয়ে গেল প্রায় ১০০ মিটার ঢালাই রাস্তা। খবর পেয়ে ভাঙ্গন এলাকায় যান সামশেরগঞ্জের তৃনমুল কংগ্রেসের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। তড়িঘড়ি ছুটে যায় রাজ্যের সেচ দপ্তরের আধিকারিক। শুরু হয় পাড় বাঁধানোর কাজ।
সামশেরগঞ্জের তৃনমুল কংগ্রেসের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম বলেন, সামশেরগঞ্জের নতুন শিবপুরে গত শুক্রবার ভাঙ্গনে একটি ডালাই রাস্তা তলিয়ে গেছে।ফরাক্কা ব্যারেজ অতিরিক্ত জল ছাড়াছে তার সাথে কয়েকদিনের প্রচন্ড বৃষ্টিপাত। ফলে প্রচন্ড জলের স্রোত, গঙ্গার কানায় কানায় জল পূর্ণ। এই সব কারণে ভাঙ্গন হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে গ্রাম। কেন্দ্র সরকার এই ভাঙ্গন রোধের কাজ না করলে, রাজ্য সরকারের পক্ষে একা এই ভাঙ্গন রোধের কাজ করা সম্ভব নয়। তা সত্ত্বেও রাজ্য সরকার বালির বস্তা দিয়ে তড়িঘড়ি গঙ্গা ভাঙ্গনের কাজ শুরু করেছে। কেন্দ্র সরকারকে বারবার করে বলার পরও কোন কাজ করছে না। আগে ফরাক্কা ব্যারেজ আপ ও ডাউন স্টিমে ১২০ কিলো মিটারের ভাঙ্গন রোধের কাজ করত। বর্তমানে কেন্দ্র সরকার সেই ভাঙন রোধে আপ ও ডাউন স্টিমে ১৭ কিলোমিটার কাজ করছে। গঙ্গার যা অবস্থা ফরাক্কা ব্যারেজ আরো জল ছাড়লে বেশ কিছু এলাকা গঙ্গার জলে প্লাবিত হবে। কিন্তু সে ক্ষেত্রে ফরাক্কা ব্যারেজের কোন মাথা ব্যাথা নেই এবং তারা যে পরিমাণে জল ছাড়ছে তারা রাজ্য সরকার বা সেচ দপ্তরকে না জানিয়ে সেই অতিরিক্ত জল ছাড়ছে। সামশেরগঞ্জের যে সমস্ত নিচু এলাকা সেই সব এলাকা দিয়ে জল ঢুকতে পারে সেই এলাকাগুলো নজর রাখতে বলেছি এবং যে সমস্ত এলাকা গুলো ভাঙ্গন হওয়ার সম্ভাবনা আছে সেই এলাকাগুলো কাজ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। কেন্দ্র সরকার রাজ্য সরকারকে যেমন কোনো আর্থিক সাহায্য করছে না এবং ভাঙ্গনের কোনো কাজও করছে না। গত ভাঙ্গনের ফলে ২৪৩টি পরিবারকে এক কাঠা করে জায়গা দেয়া হয়েছে এবং ১২২৫ টি পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করা হয়েছে সেটা রাজ্যের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী সেই পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেছেন এবং রাজ্য সরকার গৃহ নির্মাণের ব্যবস্থা করছে কিন্তু পুরোটাই রাজ্য সরকার করলেও দর্শকের মতো ভূমিকা পালন করছেন কেন্দ্র সরকার। এই কারণে ভাঙ্গন হচ্ছে। তিনি সকলের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন।
