বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:*কয়েকদিন ধরে চলছে বৃষ্টি আর যারা জেরে ফের জল বাড়ছে চন্দ্রকোনা-ঘাটালের নদীগুলিতে,বন্যার আশঙ্কায় নদীতীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা।চন্দ্রকোনায় জল বেড়েছে শিলাবতী ও কেঠিয়া নদীতেও,ভরা নদীতে ঝুঁকি নিয়ে চলছে নৌকায় পারাপার।*
কয়েকদিন ধরেই চলছে ভারি বৃষ্টি যার জেরে পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনায় বিভিন্ন নদীতে জলস্তর বাড়তে শুরু করেছে।গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের উপর নিম্নচাপের অবস্থান যার জেরে বৃষ্টি হয়েই চলেছে দিনের অধিকাংশ সময়।আর এর জেরে ফের জল বাড়ছে চন্দ্রকোনায় শিলাবতী,কেঠিয়া নদীতে।বর্ষার শুরুতেই প্রথম ভয়াবহ বন্যা দেখেছে চন্দ্রকোনা,ঘাটালের মানুষ।তার কয়েকদিন পর মাঝে কয়েকদিন ভারি বৃষ্টির জেরে ফুলেফেঁপে উঠেছিল ঘাটাল চন্দ্রকোনার নদীগুলি।
আবারও টানা বৃষ্টির জেরে জল বাড়ছে চন্দ্রকোনার শিলাবতী ও কেঠিয়া নদীতে।জল বাড়ছে ঘাটালের ঝুমি ও শিলাবতীতেও।এতেই ফের একবার নদী তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষজন বন্যার আশঙ্কায় দিন গুনছে।চন্দ্রকোনায় শিলাবতী,কেঠিয়া,কানা নদীর জলস্তর আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে ক্রমশ বৃদ্ধি পাওয়ায় চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের ভগবন্তপুর ১,ভগবন্তপুর ২ ও বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজন আবারও বন্যার আশঙ্কা করছে।
কয়েকদিন আগে জুন মাসে ভয়াবহ বন্যা দেখেছে এই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা।একাধিক নদী বাঁধ এখনও ভাঙা অবস্থায় পড়ে।আগের বন্যায় জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে নদীর কাঠের ও বাঁশের একাধিক সেতু।চলাচলের রাস্তা,হাজার হাজার বিঘা জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।এক প্রকার আবারও যদি বন্যা হয় একটা অভূতপূর্ব ক্ষতির মধ্যে পড়বে নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষজন।চন্দ্রকোনায় সম্প্রতি বন্যায় একাএকাধিক নদীবাঁধ ভাঙা অবস্থায় রয়েছে তাই নদীর জল একটু বাড়লেই জল ঢুকবে এলাকায়।এদিকে সদ্য বন্যা কাটিয়ে উঠা ঘাটালের বাসিন্দারাও বন্যার আশঙ্কায় রয়েছেন আবহাওয়া এমনই চলতে থাকলে।
