বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: মেঘমুক্ত আকাশে সমতল থেকেও এখন স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে কাঞ্চনজঙ্ঘা। যেন জেগে উঠেছেন ‘ঘুমন্ত বুদ্ধ’। কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখে স্বাভাবিকভাবে উচ্ছ্বসিত পাহাড়ে বেড়াতে আসা পর্যটকরা।
কিন্তু দিনের বেলায় ঠান্ডা সেভাবে অনুভূত হচ্ছে না। মাঝ ডিসেম্বরে শীত কার্যত উবে যাওয়ায় হতাশা ঝরে পড়ল হালকা পোশাকে ম্যালে ঘুরতে থাকা অনেক পর্যটকের কথাতেই।
হাতাশার ছবিটা সমতলেও। আচমকা শীত উধাও হয়ে যাওয়ায় ক্রেতাদের পা পড়ছে না শিলিগুড়ির ভুটিয়া মার্কেটে। হাতেগোনা কয়েকজন ক্রেতার উপস্থিতি এবং টুকটাক কেনাকাটায় কীভাবে ব্যবসা চলবে, প্রশ্ন করলেন প্রেমা গুরুং। রাতের সময়টুকু বাদ দিলে ঘাম ঝরার উপক্রম জলপাইগুড়ি, কোচবিহারেও। যথারীতি এই দুই জেলা শহরেও গরমের পোশাকের বিক্রিতে ভাটা।
উত্তরের সর্বত্র তাই প্রশ্ন, জাঁকিয়ে পড়ার আগেই কি শীত বিদায় নিল? দক্ষিণবঙ্গে যখন ইতিমধ্যে শৈত্যপ্রবাহ দেখা গিয়েছে, তখন কেন উত্তরের সঙ্গে আবহাওয়ার এমন বিমাতৃসুলভ আচরণ?
সাধারণত উত্তরবঙ্গে শীত নির্ভরশীল পশ্চিমী ঝঞ্ঝার ওপর। শক্তিশালী ঝঞ্ঝার দেখা না মিললে শীতল অনুভূতিও পাওয়া যায় না। বর্তমানে ঝঞ্ঝা অনুপস্থিত। মেঘমুক্ত আকাশের জন্য সরাসরি সূর্যের আলো পৌঁছানোয় দিনেরবেলা গরম থাকছে যথেষ্ট। আগামী দু’দিন পরিস্থিতির তেমন বদল ঘটবে না বলে জানাচ্ছেন আবহাওয়া দপ্তরের সিকিমের কেন্দ্রীয় অধিকর্তা গোপীনাথ রাহা। তবে শুক্রবার থেকে যে হাওয়া বদল ঘটার সম্ভাবনা প্রবল, তা স্পষ্ট করছেন তিনি।
তাঁর বক্তব্য, ‘শুক্রবার সিকিম এবং দার্জিলিং পাহাড়ে বিক্ষিপ্তভাবে হালকা বৃষ্টি হতে পারে। ঝরতে পারে তুষারকণাও। কপাল ভালো থাকলে শনিবার সমতলের কয়েকটি জায়গার মাটি ভিজতে পারে। আবহাওয়ার এই শর্তগুলি পূরণ হলে, দিনেরবেলাতেও ফের শীতের আমেজ পাওয়া যাবে উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে। কিন্তু এই পর্যায়ে শীতের স্থায়িত্ব কতদিন? নিশ্চিতভাবে বলতে পারছেন না কোনও আবহবিদ। তাঁদের বক্তব্য, অন্তত চার-পাঁচদিন তো থাকবেই। বৃষ্টির পরবর্তী পর্যায়ে ঘন কুয়াশাতেও ঢাকবে গৌড়বঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের একাধিক জেলা।