বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বাঙালির মানবিকতা কি সত্যি তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে? বাঙালি সত্যি কি এতো নিষ্ঠুর, নির্মম ছিল? গল্ফগ্রিন কাণ্ডের যট যত খুলছে ততই সামনে আসছে এই প্রশ্ন। ১৩ তারিখ সকালে গল্ফগ্রিনের আবর্জনা স্তূপ থেকে উদ্ধার হয় কাটা মুন্ডু। পরেরদিন বিকেলের মধ্যে রিজেন্ট কলোনি এলাকা থেকে দেহের বাকি অংশ উদ্ধার হয়। এহেন নৃশংস ঘটনার তদন্তে তিনটি থানা – রিজেন্ট পার্ক, গল্ফগ্রিন ও নেতাজিনগরের পুলিশ আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে তৈরি হয় সিট। তদন্তে নেমে অতি দ্রুত সেই কাজ এগিয়ে নিয়ে যান সিটের আধিকারিকরা। জামাইবাবুর প্রেমের ডাকে সাড়া না দেওয়াতেই বেঘোরে প্রাণ হারাতে হল খাদিজা বিবি নামে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ওই মহিলাকে। গ্রেপ্তার হয়েছে জামাইবাবু আতিকুর লস্কর।
শনিবার চমকে দেবার মতো খবর পাওয়া যায় পুলিশের পক্ষ থেকে। মহিলার দেহাংশ উদ্ধারের পর শনিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক বৈঠক করে ডিসি (এসএসডি) বিদিশা কলিতা জানান, ”অভিযুক্ত সন্দেহে আমরা যাকে গ্রেপ্তার করেছি, সেই আতিকুর সম্পর্কে মৃত খাদিজা বিবির জামাইবাবু। বেশ কয়েকদিন ধরে খাদিজাকে সে প্রেমের প্রস্তাব দিচ্ছিল। কিন্তু তা গ্রহণ করেনি খাদিজা। তা সত্ত্বেও বারবার তাঁকে নানাভবে উত্যক্ত করছিল আতিকুর। দুদিন আগে বিরক্ত হয়ে খাদিজা তার মোবাইল নম্বর ব্লক করে দেয়। একে প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি, তারপর মোবাইল নম্বর ব্লক করে দেওয়ায় কোওভাবেই আর যোগাযোগ করতে পারছিল না। সবমিলিয়ে প্রবল রাগ হয় আতিকুরের। সেই রাগ থেকে এই হত্যাকাণ্ড। ঘটনার দিন বাড়ি থেকে কলকাতায় কাজ করতে এসেছিল খাদিজা। সেদিনই ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু কলকাতায় আচমকা আতিকুরের সঙ্গে তাঁর দেখা হয়ে যায়। আতিকুর তাঁকে খাওয়াদাওয়ার পর ফেরার কথা বললে রাজি হন খাদিজা। সেই সুযোগ তাঁকে কোথাও নিয়ে গিয়ে খুন করা হয়। ঘটনা ঠিক কোথায় ঘটেছে, তা জানতে তদন্ত এখনও চলছে।” তবে ইতিমধ্যে জানা গেছে তার দেহের বিভিন্ন অংশ দক্ষিণ কলকাতা ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ফেলা হয়েছে। পুলিশ সেই অংশগুলোকে এক করার চেষ্টা করছে।