বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিঘাতে তাঁর সাধের জগন্নাথ মন্দির পরিদর্শনে গিয়েছিলেন। পরে তিনি বলেন যে অক্ষয় তৃতীয়ার দিন ওই পবিত্র মন্দিরের উদ্বোধন করা হবে। আর এর পরেই বিধানসভার বাইরে বিরোধী দলনেতা অভিযোগ করেন যে মুখ্যমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলছেন।

 

শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‌কাগজপত্রে কোথাও মন্দিরের উল্লেখ নেই। সাংবিধানিকভাবে কোনও সরকার এক্সচেকারের টাকায় ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান তৈরি করতে পারে না। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজও দাঁড়িয়ে যা যা বলেছেন সেটা ভণ্ডামি ও মিথ্যাচার। আমি একজন জগন্নাথ দেবের ভক্ত হিসেবে বলতে চাই, চারধামের একধাম পুরী ধাম। একে নকল করবেন না। এই অধিকার কোনও হিন্দু আপনাকে দেয়নি। কেদার–বদ্রীর বিকল্প হয় না। গীতাকে পালটানো যায় না। অভিনন্দনকে শুভনন্দন করতে পারেন। কিন্তু পুরী ধামের নকল মন্দির করতে পারেন না। সাহস কোথা থেকে হয় এসবের?’‌ তিনি হিডকোর সঙ্গে রাজ্য সরকারের এগ্রিমেন্টের একটি কাগজ দেখিয়ে বলেন যে ওখানে জগন্নাথ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তৈরী করা হচ্ছে।

এই বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার পাল্টা মুখ খোলেন কুনাল ঘোষ। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের পাল্টা বক্তব্য, ‘‌ঈর্ষা থেকেই এসব করছেন বিরোধী দলনেতা। দিঘার জগন্নাথ মন্দির তৈরির কাজ শেষ পর্যায়ে। মুখ্যমন্ত্রী তা দেখতে গিয়েছেন। তার মধ্যেই বিরোধী দলনেতা কটাক্ষে নেমেছেন। জগন্নাথ দেবের মন্দির তৈরি হচ্ছে তা নিয়েও কটাক্ষ!‌ এত ঈর্ষা কীসের?‌’‌ সঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলার যা আকর্ষণ তাতে এই তীর্থক্ষেত্র গোটা পৃথিবীর কাছে রাজ্যের মাথায় নতুন পালক যোগ করবে। এত ঈর্ষা কীসের?‌ এই রাজ্যে ধর্ম যার যার উৎসব সবার। সব ধর্মের জন্য উপাসনার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জগন্নাথ দেবের সুন্দর মন্দির করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। আপনাদের গায়ে কি ফোসকা পড়ছে?‌ এসব বিরোধী দলনেতার ছেলেমানুষী।’ বাংলার আপামর জনগণ বেশ উপভোগ করছেন এই দুই নেতার বাক-যুদ্ধ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *