বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: ব্রিটানের পড়ে এবার আমেরিকা। বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর অত্যাচার নিয়ে ইতিমধ্যে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে নিন্দা প্রস্তাব আনা হয়েছে। এবার মুখ খুললেন মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য ব্র্যাড শেরম্যান।
ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, সংখ্যালঘু হিন্দুদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার দায়িত্ব বাংলাদেশ সরকারেরই। বাংলাদেশে এখনও জেলবন্দি ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাস। আক্রান্ত হয়েছেন তাঁর আইনজীবীও। লাগাতার হামলা চালানো হচ্ছে মন্দিরে। ভারতীয় হিন্দু জানলে দ্বিগুণ হচ্ছে অত্যাচার। এই অশান্ত পরিস্থিতি নিয়েই মুখ খুলেছেন মার্কিন আইন প্রণেতা ব্র্যাড শেরম্যান। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্ব সকল নাগরিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার। বিশেষ করে সংখ্যালঘু হিন্দুদের উপর যে হিংসার ঘটনা ঘটছে সেদিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। হিন্দুদের উপর হামলায় আমি অত্যন্ত ক্ষুব্ধ। বাংলাদেশ সরকারকে হিন্দুবিরোধী ঘটনা রুখতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।’ স্বাভাবিক কারণেই চাপ বাড়ছে ইউনুস সরকারের উপর। অথচ সরকারের প্রধান হয়ে তিনি এখনও নীরব।
প্রসঙ্গত, হিন্দুদের রক্ষা করতে বাংলাদেশকে কড়া বার্তা দিয়েছে ভারত। উত্তপ্ত পরিস্থিতিতেই ঢাকা যাচ্ছেন বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। অন্যদিকে, সংখ্যালঘু নিপীড়ন নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছে ব্রিটেনও। জঙ্গি হামলার আশঙ্কায় ঢাকায় যেতে নাগরিক নিষেধ করেছে সেদেশের প্রশাসন। এর মাঝেই নাগরিকদের সুরক্ষার দায়িত্ব মনে করিয়ে দিলেন মার্কিন কংগ্রেসের সদস্য। হাসিনা সরকারের পতনের পড়ে বাংলাদেশে জেলবন্দি সমস্ত সন্ত্রাসবাদীদের মুক্তি দিয়েছে সরকার। ফলে যেকোনো মুহূর্তে সন্ত্রাসবাদীরা আবার সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। এই নিয়ে যথেষ্ট শঙ্কিত সারা বিশ্ব।