বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার অশোক নগর থানার পুলিশ গ্রেফতার করেছে তিন জন ডাকাতকে। এই পর্যন্ত খবরের মধ্যে কোনো নতুনত্ব নেই। কিন্তু এই গ্রেফতারের পিছনে আছে একটা রহস্যময় গল্প। খবরে প্রকাশ, অশোকনগর থানার পুলিশের হাতে ধৃত তিন অভিযুক্তকে ঘিরে নানা প্রশ্নই উঠছে।

 

জানা যায়, অশোকনগর থানা এলাকার অন্তর্গত দোগাছিয়া এলাকায় তিন সন্দেহভাজন লোককে আটকে রেখে পুলিশকে খবর দিয়েছিল এলাকার মানুষজন। স্থানীয় এলাকাবাসিরা জানান, বুধবার গভীর রাতে দ্রুতগতির একটি চারচাকা গাড়ি এসে থামে। অদূরেই তখন ক্লাবের সামনে বসে ছিলেন কয়েকজন। তারপরেই চিৎকার চেঁচামেচি শুনে স্থানীয়রা পৌঁছন গাড়ির সামনে। তখনই কিছুটা খুলে যায় নাটকের পর্দা।

স্থানীয় সূত্রের খবর,ক্লাবের ছেলেরা ওখানে গিয়ে দেখেন ৩৫ – ৩৬ বছরের ৩ জন নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি ধস্তাধস্তি করছে। যদিও স্থানীয়দের দেখেই দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িটি পালিয়ে যায়। এরপর ওই তিন যুবককে ধরে বিষয়টি সম্বন্ধে জানতে চাওয়া হলে, বিভূতি বিশ্বাস নামে এক ব্যক্তি জানান,কাজের প্রয়োজনে দত্তপুকুরে আসার পর, স্টেশনের কাছ থেকে তিন ব্যক্তি দত্তপুকুর থানার পুলিশ পরিচয় দিয়ে তাকে গাড়িতে তোলেন। এরপর তার কাছে থাকা টাকা ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ। আটক আরও দুই ব্যক্তিরা হলেন শুভঙ্কর হালদার যিনি গোবরা স্বরুপনগর থানার বাসিন্দা ও রাজেশ ঠাকুর বাদুড়িয়ার বাসিন্দা। পুলিশ সূত্রে জানা কাছে,এরপরই সুযোগ বুঝে বিভূতি সোনার বিস্কুটের প্যাকেটটি জঙ্গলে ছুড়ে ফেলে দেন। তখনই নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন তারা।

ঘটনার খবর পেয়ে অশোকনগর থানার পুলিশ গিয়ে জিজ্ঞাসা বাদ করলে গোটা ঘটনার কথা জানান তারা। আসে থানায়। পুলিশে জিজ্ঞাসা বাদে উঠে আসে গোটা ঘটনার কথা। ধৃতদের কাছ থেকে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ও একটি ছুরি উদ্ধার হয়েছে। অপরদিকে, বিভূতি বিশ্বাসের কাছে থাকা সোনার ছটি বিস্কুটও উদ্ধার করেছে পুলিশ। যার আনুমানিক মূল্য ৬০ থেকে ৬৫ লক্ষ টাকা বলে জানিয়েছে অশোকনগর থানার পুলিশ। পরে বিষয়টি পরিষ্কার হয় পুলিশের কাছে। বাকি তিনজন জানতে পারে বিভূতির কাছে সোনার বিস্কুট আছে। সেই বিস্কুট হাতিয়ে নেবার জন্য তারা তার সঙ্গ নিয়েছিলেন। এ আসলে চোরের উপর বাটপারির চেষ্টা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *