বেঙ্গল ওয়াচ নিউজ ডেস্ক:বাংলাদেশ সরকার এখন পরেছেন দু’দিকের সংকটে। একদিনে দেশের অভ্যন্তরে উগ্র ইসলামিক শক্তির চাপ ও অন্যদিকে ওই দেশে হিন্দুদের উপর নির্যাতনে সারা বিশ্বব্যাপী প্রতিবাদ।

 

এই পরিস্থিতিতেই হিন্দু ধৰ্মীয় সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করার ডাক দিয়েছে একটি ইসলামিক সংগ্রহণ। অভিযোগ জানানো হয়েছে আদালতে। এই পরিস্থিতিতে আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে যে ইসকনকে নিষিদ্ধ করা নিয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না বাংলাদেশ হাইকোর্ট। খারিজ হয়ে গেল আবেদন। তবে ইসকন নিষিদ্ধ হবে কিনা তা বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্তে নিতে পারবে বলে জানিয়েছে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও দেবাশীষ রায় চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ। স্বাভাবিক কারণেই এখন সরকারের সামনে একটা বড়ো চ্যালেঞ্জ। তারা কি করবে!

দেশের অশান্তি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের আদালত। বাংলাদেশে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি উঠেছে। আর এই দাবিতে লাগাতার চলছে বিক্ষোভ- মিছিল। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ হাইকোর্টে একটি মামলা হয়। যেখানে ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানানো হয়। যা নিয়ে চরম বিতর্ক তৈরি হয়। একদিকে ইসলামিক সংগঠন ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে পথে নেমেছে, অন্যদিকে বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন এর প্রতিবাদে পথে নেমেছে। সরকার পড়েছে উভয় সংকটে। এই মামলায় বুধবারে ইউনুস সরকারের তরফে অ্যান্টনি জেনারেল জানান, ইসকন একটি ধর্মীয় মৌলবাদী সংস্থা। স্বাভাবিক কারণেই এই বক্তব্যর প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়েছে ওই দেশের হিন্দু সংগঠনগুলো। বৃহস্পতিবার এই সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু ইসকন নিয়ে সরকার কোনও অবস্থান স্পষ্ট করেনি। তবে বিষয়টি এখন সরকারের টপ প্রায়োরিটি বলে ব্যাখ্য করেছেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনীক আর হক ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদ উদ্দিন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *